জেলা প্রশাসকের অনুরোধ উপেক্ষা করেও দাপিয়ে কিস্তি আদায়ে ব্যাস্ত এনজিও সংস্থাগুলো
সম্প্রতি ক’রোনা ভা’ইরাসের কারণে সমাজের মানুষের জীবন এখন হুমকির মুখে। তেমনি করুন অবস্থায় রয়েছে সমাজের নিম্ন আয়ের মানুষ গুলো। তাদের উপার্জন প্রায় বন্ধ হওয়ার পথে । এরই মধ্যে সরকার থেকে ক’রোনা ভা’ইরাসের কারণে দোকানপাট, খাবার হোটেল, সব বন্ধ ঘোষণাও করা হয়েছে । তাই তো নিন্ম আয়ের মানুষ পড়ছে বেশ বিপাকে। সব কিছু বন্ধ থাকলেও বন্ধ নেই বে – সরকারি এনজিও সংস্থা গুলোর কিস্তি আদায়।
সম্প্রতি বেশ কিছু জেলায় এনজিও সংস্থাগুলো কিস্তি আদায় স্থিতি রাখলেও পাটকেলঘাটার বিভিন্ন আঞ্চলে থেমে নেই তাদের কার্যক্রম। কিছু দিন আগেও সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল তার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এনজিও গুলোকে জোর পূর্বক কিস্তি না আদায়ের জন্য অনুরোধ একটি পোষ্ট করেন । কিন্তু তার এই অনুরোধ উপেক্ষা করে জোর পূর্বক কিস্তি আদায়ে ব্যাস্ত পাটকেলঘাটার, সাস,গ্রামীনব্যাংক,জাগরনী,ব্রাক, শক্তি ফাউন্ডেশন সহ বেসরকারি এনজিও সংস্থাগুলো।
সোমবার(২৩মার্চ) সকাল থেকে সরজমিনে অনুসন্ধানে গেলে, পাটকেলঘাটা থানার নগরঘাটা গ্রামের সাইদুর রহমান শুভ ও রবিউল ইসলাম,মশিউর ইসলাম ও খলিষখালী গ্রামের শাহিন আলম , সনৎ কুন্ডু সহ অনেক অভিযোগ করে বলেন আমরা নিম্ন আয়ের মানুষ। আমাদের দোকানে ঠিকমত বেচাকেনা না থাকার কারনে কিস্তি দিতে অপারকতা জানালে তারা কিস্তি না নিয়ে কিছুতে যাবেনা বলে জানাচ্ছে ।
অবশেষে স্থানীয়দের মাধ্যমে কিছুদিন সময় বেশি নিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছি,কিন্তু এভাবে কতদিন। তারা আরও জানান, সারাদেশব্যপী করোন আতঙ্কে যখন মানুষ ভুগছে তখন আমরাও বুঝিনা তারা এভাবে প্রকাশে ঘুরে ঘুরে কিস্তি আদায়ে ব্যাস্ত। আমরা এই অবস্থায় এনজিও সংস্থাগুলোর কিস্তি আদায় বন্দের জন্য প্রশাসক সহ সংক্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি ।
বিষয়টি নিয়ে বেশ কিছু পাটকেলঘাটা শাখার ব্রাক, গ্রামীন ব্যাংক সহ স্থানীয় শাখার কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বললে তারা জানা আমরা এখনও পর্যান্ত সরকারী কোন নির্দেশনা পাইনি। আমাদের উর্ধতন ককর্তৃপক্ষ আমাদের জানায়নি। জানালে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিব বোঝেন তো আমরা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী মাত্র।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামালের সাথে বললে তিনি জানান,জেলার সকল এনজিও সংস্থা গুলোকে জোর কিস্তি না আদায়ে জন্য অনুরোধ করেছি । কিস্তি আদায়ের কারনে কোন মানুষ যেন হয়রানি শিকার সেদিকেও খেয়াল রাখছি। তবে এখনও পর্যান্ত সরকারি কোন নির্দেশনা পাইনি, পেলে অবশ্যই ব্যাবস্থা নিব।