বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়েছে
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ড ওমিটারস-এর ওয়েবসাইট অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ১৭০টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস।
বাংলাদেশ সময় বুধবার রাত পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৮ হাজার ১৮৪ জন মানুষ। এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছে ৮, ২৭২ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৮২ হাজার ২০৯ জন।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় করোনাভাইরাস এখনো ততটা মহামারি আকার ধারণ করেনি। তবে সময় থাকতেই করোনা মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ওয়ার্ল্ড ওমিটারস-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বুধবার এই খবর লেখা পর্যন্ত সারাবিশ্বে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৯ হাজার ৯৬৬ জন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৮৪ জন আক্রান্ত হয়েছে স্পেনে। জার্মানিতে এক হাজার ৯৩৫ জন। ইরানে এক হাজার ১৯২ জন। এছাড়া যুক্তরাজ্যে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৬৭৬ জন।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে সারাবিশ্বে নতুন প্রাণহানির সংখ্যা ৩০৫। এর মধ্যে ইরানে ১৪৭ ও স্পেনে ৯০ জন ও নেদারল্যান্ডসে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
চীনের পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে ইতালিতে। দেশটিতে ৩১ হাজার ৫০৬ জন মানুষ আক্রান্ত হওয়ার বিপরীতে মারা গেছেন ২ হাজার ৫০৩ জন। ইরানে ১৭ হাজার ৩৬১ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। আর মারা গেছে এক হাজার ১৩৫ জন।
এদিকে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে স্থবির হয়ে পড়ছে বিশ্ব অর্থনীতি। স্মরণ কালের সবচেয়ে মন্দা দেখা দিয়েছে বিশ্ব শেয়ারবাজারে। ইউরোপ ও এশিয়ার প্রধান প্রধান শেয়ারবাজারগুলোতে দরপতন অব্যাহত আছে। এমন পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাস মানব সভ্যতার ওপর ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর আগেই জরুরি ভিত্তিতে আগ্রাসী পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন বলে পরামর্শ দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
এদিকে বুধবার বিকেলে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে আইইডিসিআর।
আইইডিসিআর-এর কার্যালয়ে করোনাভাইরাস নিয়ে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা সাংবাদিকদের বলেন, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে প্রথম কোনো ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি একজন বয়স্ক ব্যক্তি ছিলেন। মৃত ব্যক্তির বয়স ৭০ বছরের বেশি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনিতে সমস্যা ও হার্টের সমস্যা থাকার কারণে এর আগে তাকে স্টেনটিং করানো হয়েছিল। সুতরাং সেদিক থেকে তিনি খুব উচ্চ ঝুঁকির মুখে ছিলেন।
ডা. সেব্রিনা বলেন, মৃত ব্যক্তি বিদেশ যাননি। তিনি দেশেই অন্য কারো কাছ থেকে সংক্রমিত হয়েছেন।
তিনি বলেন, নতুন করে বাংলাদেশে আরো ৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন নারী ও তিনজন পুরুষ রয়েছেন। দেশে এখন মোট করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ১৪ জন।