নতুন যেসব তথ্য করোনাভাইরাস নির্মূলের আশা জাগাচ্ছে
প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হয়ে বিশ্বব্যাপী ৭ হাজার ৯৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ৯৮ হাজার ১২৯ জন। হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭৯ হাজার ৮৮১ জন। বিশ্বের ১৬৫টি দেশ ও অঞ্চলে করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। এতো খারাপ খবরের মাঝেও বেশকিছু খবর করোনাভাইরাস নির্মূলের আশা জাগাচ্ছে। নিচে তা তুলে ধরা হলো –
১. করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সামাল দিতে চীন তাদের সর্বশেষ তৈরি করা হাসপাতালটি বন্ধ করে দিয়েছে। জানা গেছে, সেখানে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত রোগী না আসায় এবং পুরনো রোগীরা সুস্থ হয়ে যাওয়ায় সেটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
২. ভারতের চিকিৎসকরা করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় সফল হয়েছেন। তারা লোপিনাভির, রেটোনোভাইর, ওসেল্টামিভির ও ক্লোরফেনামিন ওষুধের সংমিশ্রণ ব্যবহারে তা সম্ভব করেছেন। তারা পুরো বিশ্বকে এ ব্যপারে অবহিত করছেন।
৩. নেদারল্যান্ডের ইরাসমাস মেডিকেল সেন্টারের গবেষকদের দাবি, তারা করোনভাইরাসের সফল অ্যান্টিবডি পেয়েছেন।
৪. চীনের উহানের এক হাসপাতালে মাত্র ৬ দিনেই ১০৩ বছর বয়সী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বৃদ্ধা সম্পূর্ণ সুস্থ হয়েছেন।
৫. বিখ্যাত বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি ‘অ্যাপল’ চীনের ৪২টি স্টোর পুনরায় খুলেছে।
৬. যুক্তরাষ্ট্রের ক্ল্যাভল্যান্ড ক্লিনিক করোনাভাইরাস পরীক্ষার এমন এক পন্থা বের করেছে, যেটি মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ফলাফল দেয়। এর আগে, এই ফলাফল পেতে একদিন সময় লাগতো।
৭. দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক কমে গেছে।
৮. এক গবেষণায় জানা গেছে, ইতালিতে করোনায় মৃত্যু বেশি হওয়ার কারণ হলো তাদের বয়স্ক জনগণ অনেক বেশি। দেশটির গড় আয়ু ৮০ বছর।
৯. ইসরায়েলের বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, তারা করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরি করে ফেলেছেন।
১০. যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ডে করোনায় আক্রান্ত তিনজন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়েছেন। তারা এরইমধ্যে দৈনন্দিন জীবনে ফিরেছেন।
১১. কানাডার একদল বিজ্ঞানী করোনাভাইরাস নিয়ে গবেষণায় দারুণ সফল হয়েছেন।
১২. যুক্তরাষ্ট্রের সান দিয়েগো বায়োটেক কোম্পানি, ডিউক বিশ্ববিদ্যালয় এবং সিঙ্গাপুরের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় একযোগে কোভিড -১৯ এর প্রতিষেধক তৈরি করেছে।
১৩. যুক্তরাষ্ট্রের তুলসা কাউন্টির প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়েছেন। তাকে আলাদাভাবে দু’টি পরীক্ষা করে সুস্থ ঘোষণা করেছেন চিকিৎসকরা।
১৪. ভারতের নয়াদিল্লীর সাফদারজং হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৭ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
১৫. এক গবেষণায় জানা গেছে, করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন এমন যে কারো রক্তের প্লাজমা দিয়ে অন্য এক করোনায় আক্রান্তকে সুস্থ করা সম্ভব।