র‌্যাগিংয়ের অপরাধে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের ৭ শিক্ষার্থীকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার

র‌্যাগিংয়ে জড়িত থাকা ও শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ৭ শিক্ষার্থীকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সাথে ১১ জনকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করে তাদেরকে সর্তক করা হয়েছে। বহিষ্কৃত এসব শিক্ষার্থীদেরকে কলেজ হোস্টেল ছাড়তে বলা হয়েছে। তাদেরকে জন্য একাডেমিক সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৩ জন ছাত্র ও ৪ জন ছাত্রী রেেয়ছেন। মেডিকেল কলেজের একাডেমিক কাউন্সিল ও শৃংখলা কমিটি এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

মেডিকেল কলেজের একটি সুত্র জানায়, জানুয়ারি মাসের ৯, ১০, ১১ ও ১২ তারিখে সাতক্ষীরা মেডিকেলের নতুন ভর্তি হওয়া প্রথম বর্ষের এমবিবিএস শিক্ষার্থীদের র‌্যাগিং করে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষর্থীরা। নতুন এসব শিক্ষর্থীদেরকে র‌্যাগিং করতে বাধ্য করে তাদেরকে শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করা হয়। বিষয়টি নিয়ে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন কর্তৃপক্ষের কাছে। র‌্যাগিংসহ শৃংখলা ভঙ্গের বিষয়ে ১৫ জানুয়ারি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. কাজী হাবিবুর রহমান আট সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের অর্থোপেডিক সার্জারী বিভাগের প্রধান ডা. এএইচ এস.এম কামরুজ্জামান ও সদস্য সচিব করা হয় শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. খান গোলাম মোস্তফাকে।

তদন্ত কমিটি অভিযোগের বিষয়টি দীর্ঘ তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেন। পরে তদন্ত রিপোর্ট পেয়ে গত ৯ মার্চ মেডিকেল কলেজের একাডেমিক কাউন্সিল এক জরুরী সভায় তদন্ত রিপোর্টে ৭ শিক্ষার্থীসহ ১১ শিক্ষার্থীকে দোষী সাব্যস্ত করেন। পরবর্তীতে ১৬ মার্চ কলেজের একাডেমিক কাউন্সিল ও শৃংখলা কমিটি একটি জরুরী সভায় মিলিত হন। সভায় তদন্ত রিপোর্টে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের ১৮ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ৭ জন শিক্ষার্থীকে ৬ মাসের জন্য কলেজ থেকে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত করে বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কাকৃত এসব শিক্ষার্থীরা হলেন, এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অনিক সাহা, জয় সরকার, মোহাম্মদ হানিফ, মাহফুজা ইসলাম দিনা, প্রেয়সী রাণী রায়, ফারহা শামান্ত রহমান ও শারমিন ফাহরিয়া। একাডেমিক কাউন্সিল শৃংখলা কমিটি একই সাথে ১১ শিক্ষার্থীকে ৫ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড দিয়ে তাদের ভবিষতে সর্তক করে দেন।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. কাজী হাবিবুর রহমান এ ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে শিক্ষর্থীদের কোন ধরনের বিশৃংখলা করতে দেয়া হবে না। কলেজে যাতে শিক্ষার্থীরা সুন্দর পরিবেশে থেকে লেখাপড়া করতে পারে তার জন্য সর্বাত্বক প্রচেষ্টা চালানো হবে।
সাতক্ষীরা

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)