গ্রাম আদালতের মাধ্যমে ৩৮ বছর পর পাওনা ফেরৎ পেলেন
আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম কারিগর ৩৮ বছর পর গ্রাম আদালতের মাধ্যমে পাওনা ফেরৎ পেয়েছেন। গ্রাম আদালতের সুবিচারে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দাবী আদায় করতে পেরে রফিকুল ও তার পরিবার গ্রাম আদালতের প্রতি সুবিচার পাওয়া যায় সেটি উপলব্ধি করতে পেরেছেন।
আনুলিয়া ৪নং ওয়ার্ডের মৃত ইউনুচ কারিগরের পুত্র রফিকুলের পিতা তার বয়স যখন ১ বছর তখন মৃত্যুবরন করেন। এতিম রফিকুলের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে তার দাদী ও ৩ ফুফু নাবালক রফিকুলের নামে ৪ শতক জমি দানপত্র করে দিয়েছিলেন। আনুলিয়া মৌজায় এসএ ৩৯৩ ও ৩৪২ খতিয়ানে, এসএ ৮৮০ নং দাগে ১.২৫ একর জমির মধ্যে ০৪ শতক জমি তাকে লিখে দেওয়া হয়।
নাবালক রফিকুলের অজান্তে এই জমি তার চাচাত চাচা প্রতিবাদী মৃত ইসাহক কারিগরের পুত্র আলী হোসেন ভোগদখল করে আসছিলেন। রফিকুল জানতে পেরে প্রতিবাদীর কাছে জমি দাবী করলে তিনি অস্বীকার করেন। ২৬ জানুয়ারি জমি ফিরে পেতে রফিকুল জমিতে গেলে তাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। বাধ্য হয়ে রফিকুল আনুলিয়া ইউনিয়ন গ্রাম আদালতে ১০ ফেব্রুয়ারি মামলা করেন।
ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর আলম লিটনের নেতৃত্বে ইউপি সদস্য ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে উভয় পক্ষকে নিয়ে শুনানী শেষে ৪ মার্চ আপোষ মীমাংসার মাধ্যমে আবেদনকারীর পক্ষে রায় ঘোষণা করেন। রায় অনুযায়ী প্রতিবাদীর কাছ থেকে আদায়কৃত ১৫ হাজার টাকা আবেদনকারীর হাতে তুলে দেওয়া হয়।
দ্রুততম সময়ে নামমাত্র খরচের বিনিময়ে ন্যায় বিচার পেয়ে রফিকুল ও তার পরিবার যেমন সন্তুষ্ট, তেমনি এলাকার মানুষ তাদের সমস্যা সমাধানে থানা পুলিশ না করে গ্রাম আদালতে আসতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।