শ্যামনগরে সরকারি খাল দখল করে অবৈধ ভবন নির্মাণ। জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা
বর্তমান সাতক্ষীরা জেলা কে ক্লিন সাতক্ষীরা গ্রিন সাতক্ষীরায় রূপান্তরিত করার জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। সরকারি খাল অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করতে মোটেও পিছপা হচ্ছেন না তিনি। সেই সময় তার এই পরিশ্রম ব্যাহত করার উদ্দেশ্যে কিছু অবৈধ দখলদাররা দখলে মেতে উঠেছে। চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ দখল। সম্প্রতি শ্যামনগর আদি যমুনাকে পূর্ণরূপে ফিরিয়ে আনার জন্য অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছে উপজেলা প্রশাসন।
শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের যাবাখালি গোগের খালটি দখলের মহোৎসব মেতে উঠেছে দখলদাররা। সরোজমিনে যে দেখা যায়, স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতার নেতৃত্বে যাবাখালি গ্রামের মনিরুল ইসলাম, এমদাদ, আবুল, জলিল, রশিদ, গুমানতলী গ্রামের হাসিম সদ্দার, বাবলু গাজী, সোনা মোড়ল, রাজ্জাক মোড়ল সহ অনেকেই দখল করে অবৈধভাবে ভবন নির্মাণ করছে। দেখার যেন কেউ নেই। মাটি ভরাট সহ ছাদ দিয়ে তিন চার তলা ফাউন্ডেশন করে নির্মাণ করা হচ্ছে অবৈধ স্থাপনা। এছাড়া টিনের ছাউনি আধাপাকা ঘর নির্মাণ করছে। দখলদাররা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে চায় না জনসাধারণ। নাম বলতে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান এভাবে যদি সরকারি খাল দখল চলতে থাকে তাহলে আমাদের ঘের ভেড়ী ও ধান চাষের জমি জলাবদ্ধতায় ডুবে নষ্ট হয়ে যাবে। শুধু তাই নয় চুনা নদীর শাখা গোগের খাল ভবিষ্যতে নব্যতা হারিয়ে জলবদ্ধতা তৈরি হবে। ধ্বংস হবে হাজার হাজার মৎস্য ঘের ও কৃষি জমি।
এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে দখলদারদের মধ্যে ইমদাদ ও মনিরুল সহ কয়েকজনের সাথে কথা হলে বলেন, আমরা রেকর্ডীয় জায়গায় ঘর নির্মাণ করছি এছাড়া সরকারি রাস্তা আমাদের রেকর্ডীয় জমির উপর দিয়ে যাওয়ার কারণে সরকারি জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ করছি। দখলের বিষয়টি বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেন,অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করার বিষয়টি জানতে পেরে যেয়ে সেখানে কাজ বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে রাতারাতি ঘরগুলো নির্মাণ করেছে বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছে। শ্যামনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল হাই সিদ্দিকী বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হবে। স্থানীয় সর্বসাধারণের দাবি জেলা প্রশাসকের কাছে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ পূর্বক খালটি দখলমুক্ত করার আহ্বান জানান।
Please follow and like us: