আশাশুনি মরিচ্চাপ বেইলি ব্রীজ সারানোর একদিন পর আবারও ঝুঁকিপূর্ণ
আশাশুনির মরিচ্চাপ নদীর উপর নির্মিত বেইলি ব্রীজটি আবারও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ঝুকিপূর্ণ ব্রীজ দিয়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভারী যানবাহন চলাচল করায় যে কোন মুহুর্তে ভেঙ্গে গিয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বিরাজ করছে।
ব্রীজটি বছরে কয়েকবার করে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মেরামতের কাজ করলেও বেশীদিন নিরাপদ থাকেনা। ইতিপূর্বে ব্রীজটির লোহার পাত ভেঙ্গে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়লে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যানের উদ্যোগে, সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্বাবধায়নে ২০১৬ সালের ৩০ অক্টোবর বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী চিটাগাং ডাইড ইন্ডাস্ট্রিজ এর ব্যবস্থাপনায় প্রায় তিন কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যায়ে ব্রিজটি স্ট্রিলের পাত ব্যবহারে সংস্কার করা হয়। সংস্কার পরবর্তীতে সাতক্ষীরা ৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর ভারী যানবাহন চলাচলের ফলে পুনরায় ব্রীজটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে। বর্তমানে মরিচ্চাপ বেইলি ব্রীজের কিছু স্থানে লোহার পাত দেবে গেছে। ভেঙ্গে গেছে ব্রীজের দুই ধারের সাফট রেলিং ও পাত। আর একারণে প্রতিনিয়ত বেইলি ব্রীজের উপর ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
এছাড়া এ বেইলি ব্রীজের পূর্ণস্কার করা হলেও ব্রীজের প্রতিমধ্যে পথচারীদের জন্য নির্মান করা ছোট-ছোট নিরাপদ স্থানের কোন সংস্কার করা হয়নি। ফলে বড় যানবহন ব্রীজের উপর চলাচল করলে শিশু থেকে বয়স্ক ব্যক্তিদের পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে। আর একারণে ব্রীজের উপর যানবাহনের ধাক্কায় আহত হওয়ার ঘটনাও কম নয়। জরাজীর্ণ এ ব্রীজের স্বচিত্র প্রতিবেদন তুলে ধরে পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকশের পর কর্তৃপক্ষ জোড়াতালি দিয়ে কাজ করে থাকেন। ফলে কয়েক মাস পর আগের অবস্থায় ফিরে যায় ব্রীজের দৃশ্য। গত এক সপ্তাহ ধরে দেবে যাওয়া ব্রীজের কাজ করা হচ্ছে। কিন্তু আবার পাত দেবে গেছে।
কঠোর তদারকির মাধ্যমে ব্রীজের সংস্কার কাজ সম্পন্ন করে দীর্ঘস্থায়ী ভাবে টিকিয়ে রাখার ব্যবস্থা করার জন্য উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পথচারী ও এলাকার সচেতন মহল।