ক্যালেন্ডার থেকে বাদ পড়ছে ২৯ ফেব্রুয়ারি
এ বছরটাকে বলা হচ্ছে লিপ ইয়ার। চার বছর পর পর ফেব্রুয়ারি মাস ২৯ দিনের হয়ে থাকে, সেই বছরটাকেই লিপ ইয়ার বলা হয়। তাই অনেককেই জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকী ও অন্যান্য বিশেষ দিনের জন্য চার বছর অপেক্ষা করতে হয়। একটা সময় আসবে পৃথিবী থেকে হারিয়ে যা এ দিনটি! জানা গেছে, ৪০ লাখ বছর পর ক্যালেন্ডার থেকে বাদ পড়বে লিপ ইয়ার।
পৃথিবীর নিজ অক্ষের চার দিকে ঘূর্ণনের গতি উত্তরোত্তর কমে আসছে বলে জানিয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। তাদের মতে, চাঁদ পৃথিবী থেকে অল্প অল্প করে দূরে চলে যাচ্ছে। এর ফলে, আমাদের ওপর চাঁদের টান (‘টাইডাল ফ্রিকশন’) কমে যাচ্ছে। তাই একটু একটু করে বেড়ে যাচ্ছে দিনের আয়ু। প্রতি শতাব্দীতে ১৪ মিলিসেকেন্ড করে! পরিণতি হিসেবে পৃথিবী থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি দিনটি হারিয়ে যাবে।
নাসার গর্ডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের গবেষণা অনুযায়ী, ৪০ লাখ বছর পরে ২৯ ফেব্রুয়ারি দিনটা আর থাকবে না পৃথিবীতে। থাকবে না চার বছর পর পর তার ফিরে আসার কোনো সম্ভাবনাও।
লিপ ইয়ার এলো কীভাবে?
বাঙালি জাতি হিসেবে আমাদের নিজস্ব বর্ষপঞ্জি রয়েছে। সারা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে, দৈনন্দিন জীবনে ইংরেজি বর্ষপঞ্জিই বেশি ব্যবহার করা হয়। যেটিকে আমরা সাধারণ অর্থে ইংরেজি বর্ষপঞ্জি হিসেবে অভিহিত করি, সেটি মূলত গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি। এ বর্ষপঞ্জির প্রতি মাসই হয় ৩০ দিনে, নয়তো ৩১ দিনে। ব্যতিক্রম কেবল ফেব্রুয়ারি। মাত্র ২৮ দিনেই সম্পন্ন হয় ফেব্রুয়ারি মাসটি। আর প্রতি চার বছর অন্তর অধিবর্ষ (লিপ ইয়ার) এলে, দিনের সংখ্যা বেড়ে ২৯ হয়।
গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জিতে বছর হয় ৩৬৫ দিনে। প্রতি বছর প্রায় ছয় ঘণ্টা বাড়তি থাকে আর প্রতি চার বছর পর সেটা হয়ে হয়ে দাঁড়ায় প্রায় একদিনের সমান। তাই ৩৬৫ দিনের বদলে ৩৬৬ দিন গণনা করা হয়। অতিরিক্ত এ দিনটি যোগ হয় ফেব্রুয়ারির সঙ্গে। গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গণনা করা হয় বাংলা পঞ্জিকায় ফাল্গুন মাসেও অতিরিক্ত একদিন যোগ করা হয়। যেমন- ২০১৬ লিপ ইয়ার তাই ফেব্রুয়ারিতে ২৯ এবং ফাল্গুনে ৩১ তারিখটা যোগ করা হয়েছিল।
সূএ-ডেইলি বাংলাদেশ