ইউপি নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী আঃ হাকিম জনসেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে আগ্রহী
আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আব্দুল হাকিম আওয়ামীলীগ সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন ও ইউনিয়নের অসহায় মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। শুক্রবার বিকালে বুধহাটা করিম সুপার মার্কেটস্থ ফেমাস ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মতবিনিময়কালে তিনি এ অগ্রহণের কথা জানান।
উপজেলার কচুয়া গ্রামের মরহুম ঈমান আলি সানার পুত্র মোঃ আব্দুল হাকিম জনসেবা মূলক কাজের সাথে দীর্ঘদিন জড়িত। জনসেবার মনোভাব বুকে ধারণ করে এলাকার অসহায় মানুষের সুখদুঃখে পাশে থাকতে ২০০০ সালে তিনি চিকিৎসা জগতে প্রবেশ করেন। এলাকার মানুষ যখন রোগ চিকিৎসা, নানান প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা, হাসপাতাল/ক্লিনিক্যাল সেবা পেতে সাতক্ষীরা, খুলনার উপর নির্ভরশীল ছিলও। হাজার হাজার টাকা অতিরিক্ত মানুষের কাছ থেকে নানাভাবে হাতিয়ে নেওয়া হতো।
তাদেরকে সেই অসহায়ত্ব থেকে রক্ষা করতে এবং বাড়ির কাছে সেবা স্থাপন করতে তিনি বুধহাটায় ক্লিনিক স্থাপন করেন। এখানে গরীব, অসহায় রোগীদের বিনামূল্যে অথবা স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়ে এসেছেন। তার চিকিৎসা ও জনসেবার কাজকে আরও সফলভাবে চালিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি ২০০৪ সালে সাবেক এমপি আলহাজ্ব ডাঃ মোখলেছুর রহমানের হাত ধরে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগে যোগদান করেন। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি গরীব দুখী ও সমস্যাগ্রস্ত মানুষের সাথে থেকে জনহিতকর কাজ করে এসেছেন।
এছাড়া মসজিদ, মন্দির, স্কুল, মাদরাসার সহযোগিতা করে এসেছেন। কচুয়া গার্লস স্কুলে অভিভাবক সদস্য হিসাবে পরিচালনা কমিটিতে দায়িত্ব পালন করেছেন। এসব কাজের মধ্যে তিনি আমেরিকায় প্রবাসী জীবনও কাটিয়েছেন। ১২ বছর আমেরিকা থাকার ফাঁকে ফাঁকে দেশে এসে মানুষের পাশে থেকেছেন। বর্তমানে দেশে ফিরে এসেছেন মানুষের পাশে থেকে সেবা করার জন্যে। ইউপি নির্বাচনে আগ্রহী হলেন কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, অসহায় মানুষকে সরকারি কার্ড ও সহায়তার তালিকাভুক্ত হতে টাকা লাগে, দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে মানুষ বিপদাপন্ন হয়। শালিস বিচারে পক্ষপাতিত্ব হয়ে থাকে। এসবের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে কাজ করতে চাই।
রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, খাল খনন, মাদক ও অনৈতিকতার হাত থেকে তিনি এলাকাবাসীকে রক্ষা করতে কাজ করতে চান। জনপ্রতিনিধি হতে পারলে সমাজ উন্নয়নে অনেক কিছু করার সুযোগ করতে পারবো। স্বচ্ছতার মাধ্যমে অনেক কিছু করা যায় সেটি আমি প্রমাণ করতে চাই। তিনি বলেন, বর্তমান উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম সাহেবের সাথে থেকে এলাকার মানুষের পাশে আছি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসাবে নিজেকে গড়ে তুলতে চাই।
দলকে শক্তিশালী ও সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নের মাধ্যমে মানুষের কাছে থাকতে চাই। আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের দাবী নিয়ে মাঠে থাকতে চাই। নৌকা পেলে দলের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখা এবং দলের স্বার্থ মাথায় নিয়ে জনগণের কাছে নিজেকে রাখতে চাই। নৌকা না পেলে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীকে নিয়েই কাজ করবো। তিনি সকল নেতাকর্মী, সমর্থক ও সাধারণ ভোটারের সহযোগিতা কামনা করেন।