ইউভি আলোয় করোনাভাইরাসের আসল রূপ: বাঁচতে হাত ধোয়ার সঠিক উপায় (ভিডিও)

আমার নখের চারপাশে ও হাতের উপরের অংশে করোনাভাইরাসের জীবাণু রয়েছে। বলছিলেন ড. অ্যাডেল ম্যাককরমিক। তিনিই ইউভি আলোর নিচে তার হাত রেখে দেখান কীভাবে করোনাভাইরাসের জীবাণু হাতের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে।

https://www.facebook.com/1097067257079185/videos/208044233612663/

এই পরীক্ষার জন্য করোনায় আক্রান্ত এক রোগীকে খালি হাতে স্পর্শ করেন। এরপর তিনি তার হাতে সামান্য জেল ব্যবহার করে ইউভি আলোর নিচে রাখেন। অতঃপর অবাক করা দৃশ্য সামনে আসে। দেখা যায়, হাতের যেসব স্থানে করোনাভাইরাস রয়েছে সে অংশগুলো ফ্যাকাসে রঙের।

ইউভি আলোর নিচে স্পষ্ট করোনাভাইরাস

অর্থাৎ, তার নখের গোড়ায়, তালুতে এমনকি হাতের উপরের অংশ পর্যন্ত মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাসটি। এভাবেই ডা. অ্যাডেল ইউভি আলোতে হাত রেখে করোনাভাইরাসের উপস্থিতির প্রমাণ দেন।

তবে কীভাবে এই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়া ঠেকানো সম্ভব? জানিয়েছেন ডা. অ্যাডেল ম্যাককরমিক-

নিজের চেহারা, মুখ, নাক এবং চোখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন। এসব স্থান দিয়ে ভাইরাস সহজেই প্রবেশ করে এবং সংক্রমণ ঘটায়। হাঁচি বা কাশি দেয়ার সময় যদি মুখে হাত না দেন তাহলে ভাইরাসটি বাতাসের মাধ্যমে অন্য ব্যক্তির শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

হাত ধুচ্ছেন ডা. অ্যাডেল

এক্ষেত্রে আপনার হাত ধোয়াটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তবে কীভাবে হাত ধুলে আপনি ভাইরাসমুক্ত থাকবেন তা কী জানেন? প্রথমে সামান্য সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ নিন। ফেনা হওয়া পর্যন্ত হাত ধুতে থাকুন। হাতের উপরের অংশও পরিষ্কার করুন।

আঙুলের মাঝে, হাতের তালুতে এমনকি নখের কোণাগুলোও ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। এরপর ভালো করে হাত ধুয়ে নিন। এরপর পানির কলটি টিস্যুর সাহায্যে বন্ধ করুন যাতে সেখানে জীবাণু না লেগে থাকে। এরপর টিস্যুটি ময়লার ঝুড়িতে ফেলুন।

হাত ধোয়ার পর ভাইরাসের চিহ্ন আর মেলেনি

ডা. অ্যাডেল এই প্রক্রিয়ায় হাত ধোয়ার পর আবার ইউভি আলোর নিচে হাত নিয়ে দেখেন। তবে এবার করোনাভাইরাসের চিহ্ন আর পাওয়া যায়নি। এজন্যই করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়তে মাস্কের ব্যবহার ও নিয়মিত হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়তে হবে। কারণ হাঁচি, কাশি ও হাতে থাকা জীবাণু নাকে ও মুখে লাগার মাধ্যমেই ভাইরাসটি দ্রুত একে অন্যের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।

দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস। আতঙ্কে এখন বিশ্ববাসী। দিন দিন মৃত্যুর মিছিল বেড়ে চলেছে চীনে। সেইসঙ্গে অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়ছে ভাইরাসটি। সেই হিসেবে, বাংলাদেশও ঝুঁকিমুক্ত নয়। তবে সামাজিক ও ব্যক্তিগত সচেতনতার মাধ্যমে করোনাভাইসের প্রাদুর্ভাব থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।

সূত্র: বিবিসি

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)