হরিণের চামড়ায় আশীর্বাদ, ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে সৌম্যের বিরুদ্ধে

জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার সৌম্য সরকারের বিয়ের আশীর্বাদে হরিণের চামড়া ব্যবহারের বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়লেই ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী ক্রাইম কন্ট্রোল ইউনিট। ইতোমধ্যে ঢাকা থেকে বন্যপ্রাণী ক্রাইম কন্ট্রোল ইউনিটের ইন্সপেক্টর অসীম মল্লিক সাতক্ষীরাতে এসে এ নিয়ে তদন্ত শেষ করেছেন। তবে তদন্ত প্রতিবেদন এখনো জমা পড়েনি। তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়লেই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী ক্রাইম কন্ট্রোল ইউনিটের পরিচালক এসএম জহির উদ্দিন আকন।

তিনি বলেন, ঢাকা থেকে ইন্সপেক্টর অসীম মল্লিককে সাতক্ষীরায় সৌম্য সরকারের বাড়িতে হরিণের চামড়া রাখা ও ব্যবহারের ঘটনার তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে সরেজমিনে তদন্ত শেষ হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন অফিসে জমা দিলেই প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গত ২১ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরার মধ্যকাটিয়ার বাড়িতে সৌম্য সরকার তার বিয়ের আশীর্বাদে হরিণের চামড়াকে আসন হিসেবে ব্যবহার করেন। গোপনীয়তার মধ্যেও সৌম্য সরকারের নিকটজনদের মাধ্যমে আশীর্বাদের কয়েকটি ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। সেই ছবিতে দেখা যায়- সৌম্য সরকার একটি হরিণের চামড়াকে আসন হিসেবে ব্যবহার করেছেন। অবৈধভাবে হরিণের চামড়া বাড়িতে রাখা ও ব্যবহার ঘিরে শুরু হয় বিতর্ক ও সমালোচনা। এরই মধ্যে গত বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) খুলনা ক্লাব মিলনায়তনে প্রিয়ন্তী দেবনাথ পূজার সঙ্গে সৌম্যের বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে সাতক্ষীরা শহরের মোজাফফর গার্ডেনে বৌভাত অনুষ্ঠিত হয় ।

হরিণের চামড়াটির বিষয়ে সৌম্য সরকারের বাবা সাতক্ষীরার সাবেক শিক্ষা কর্মকর্তা কিশোরী মোহন সরকার জানান, হরিণের চামড়াটি সৌম্য সরকারের দাদার থেকে পাওয়া। সেই সময় থেকেই চামড়াটি বাড়িতে রাখা হয়েছে। সৌম্য সরকারের আশীর্বাদে হরিণের সেই চামড়াটি আসন হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। তবে হরিণের চামড়া রাখার জন্য কোনো লাইসেন্স রয়েছে কি-না এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর তিনি দেননি।

এদিকে হরিণের চামড়া ব্যবহারের ঘটনা নিয়ে নানা বিতর্ক ও সমালোচনার মধ্যে সরেজমিনে ঘটনার তদন্ত করেছেন বন্যপ্রাণী ক্রাইম কন্ট্রোল ইউনিটের ইন্সপেক্টর অসীম মল্লিক।

হরিণের চামড়াটি উদ্ধার করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে অসীম মল্লিক বলেন, এ নিয়ে এখনই সবকিছু বলতে চাই না।

উল্লেখ্য, বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন অনুযায়ী- লাইসেন্স ও পারমিট প্রাপ্ত ব্যক্তি ছাড়া অন্য কারও কাছে যদি কোনো বন্যপ্রাণী, বন্যপ্রাণীর অংশ পাওয়া যায় অথবা কেউ যদি তা থেকে উৎপন্ন দ্রব্য ক্রয়, বিক্রয়, আমদানি-রফতানি করেন এবং অপরাধ প্রমাণিত হয় তাহলে তার সর্বোচ্চ এক বছরের সাজা অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে। একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটলে তিন বছরের সাজা অথবা সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)