সংখ্যালঘু সুমিত্রার জমি জবর দখলের চেষ্টা ও সন্ত্রাসী হামলায় জড়িতদের শাস্তির দাবীতে কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন

কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংখ্যালঘু ও অসহায় বিধবার সাংবাদিক সম্মেলন। সম্পদ জবরদখলের চেষ্টা ও সন্ত্রাসী হামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবীতে পুলিশ ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেছেন উপজেলার উজয়মারী গ্রামের মৃত বিরেশ্বর হালদারের মেয়ে সুমিত্রা হালদার।

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) বেলা ১১ টায় কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের উপস্থিতে লিখিত বক্তব্যে সুমিত্রা বলেন আমি খুবই অসহায়, স্বামী হারিয়ে এখন বিধবা বেশে জীবিকা নির্বাহ করে চলেছি। আমার স্বামীর রেখে যাওয়া সম্পপ্তির মধ্যে থেকে দেয়া মৌজার ৬৫ নং ক্ষতিয়ানে এস এ ৭৭৫ দাগে মোট ৩৫ শতক জমি বিক্রয় করব বলে দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ চেষ্টা করে আসছি। কিন্তু আমার নিকটতম প্রতিবেশি উজয়মারি গ্রামের বিরেশ্বর ঘোষের পুত্র হারান ঘোষ ও তার ধুরন্ধর পুত্র ইউপি সচিব বিশ্বজিৎ কুমার ঘোষ পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আমার সম্পপ্তি জবর দখলের লক্ষে সম্ভাব্য ক্রেতা সাধারণকে দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দেখিয়ে আসছিলো এবং আমাকে প্রকাশ্য জমি বিক্রি করা থেকে বিরত থাকতে ভয় ভিতি প্রদর্শন করে আসছিলো। আমি এক মাত্র মেয়ে, জামাই, এক নাতি ও এক নাতনি কে নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র ও হুমকি ধামকি মোকাবেলা করে দিনাতিপাত করছি। এর মধ্যে নাতনির প্রয়োজনে আমার স্বামীর সম্পপ্তির মধ্যে থেকে ৩৫ শতক জমি বিক্রয় করতে চাইলে হারান গংদের বাঁধা উপেক্ষা করে পৃথক ৩ টি দলিলে ২০/০১/২০২০ তারিখে ৩৩০,৩৩১ ও ৩৩২ নং দলিলে আজিজুর রহমান, ইয়াসিন আলী কারিকর, আব্দুল গনি গাজী ও আয়ুব আলী বাজার মূল্যে ক্রয় করে।

যেহেতু উক্ত জমি আমার দখলিয় সে কারনেই ক্রেতাগনকে আমি জমি মাপজরিপন্তে বুঝিয়ে দিতে গেলে হারান গং বাধা দেয়। এঘটনায় আমি সংখ্যালঘুদের প্রিয়ভাজন ও দুঃসময়ের বন্ধু আমাদের আপনজন জননেতা উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদীর নিকট অভিযোগ দায়ের করি। সে মতে ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০ তারিখে তিনি সরেজমিনে আসেন এবং বাস্তবতা দেখে মাপজরিপ বরাবর খোটা মেরে রাখার কথা বলেন এবং বিতর্ক থাকলে জায়গাটি আবারও মাপজরিপ করে দেখা যেতে পারে এই বলে তিনি ধুলিয়াপুর হাইস্কুলের ম্যানেজিং কমিটির মিটিংয়ে চলে যান।

এসময় আমার প্রতিপক্ষরা কেহই সরেজমিনে ছিলেন না। অথচ বিভিন্ন সাংবাদ মাধ্যমে সঠিক তথ্য আড়াল করে কালিগঞ্জের মধ্যে সংখ্যালঘুদের সবচেয়ে কাছের মানুষ জননেতা সাঈদ মেহেদীকে সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে হেও করতে কতিপয় স্বার্থানেশী মহলের ইন্ধনে নানান ভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এর পরেও থেমে থাকেনি ষড়যন্ত্র কারীদের অপচেষ্টা ও কুট কৌশল। গত ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২০ তরিখে বিকাল ৪ টায় সজল মুখার্জি, ছোট ও সুমনের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সর্জিত হয়ে শতাধিক ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা আমার দখলীয় জমির ঘেরা বেড়া ও গাছ গাছালী কেটে তছরুপ করতে থাকে। এসময় তাদের হীন কাজে বাধা দিতে গেলে সন্ত্রাসী বিশ্বজিৎ ঘোষ, দেবাশীস ঘোষ, দুলাল ঘোষ, জয়দেব ঘোষ, শ্যামপদ ঘোষ, হারান ঘোষ ও ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা আমাকে সহ আমার সহযোগীদের বেধম মারপিট করে রক্তাত জখম করে।

বর্তমানে তরিকুল ইসলাম, আফরোজা বেগম ও শরিফুল ইসলাম কালিগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আমি সংখ্যলঘু পরিবারের একজন অসহায় বিধবা সদস্য হয়ে বর্তমানে উল্লেখিত সন্ত্রাসীদের ভয়ে ভীত হয়ে অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করছি। পাশাপাশি আমার নিকট থেকে সম্পুর্ণ বৈধভাবে কোবলা মূলে পৃথক ৩ টি দলিলে জমির গ্রহীতাগন নানান হুমকি ধামকির সম্মুখীন হচ্ছে। এমনকি সন্ত্রাসীদের ভয়ে আমি সহ তারা নিজ গৃহে বসবাস করতে পারছি না। আমি আপনাদের মাধ্যমে পুলিশ ও প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি করছি যে, হারান ঘোষ ও তার সন্ত্রাসী পুত্র বিশ্বজিৎ ঘোষ এবং তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হোক। পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের প্রিয়জন মাননীয় উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদীর বিরুদ্ধে অপ-প্রচার ও সকল ষড়যন্ত্রের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানো হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)