কলারোয়ার শিক্ষা সফরের বাসের সাথে যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১ :আহত ২০
সাতক্ষীরা কলারোয়ার শ্রীরামপুরের বিবিআরএনএস হাইস্কুলের শিক্ষা সফরের দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাসের যাত্রী নিহত হয়েছেন।আহত হয়েছেন অন্তত ২০জন। আহতদের মধ্যে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকরাও রয়েছেন।স্কুলের প্রধান শিক্ষক উয়ায়েস আলি সিদ্দিক বাবর জানান, বুধবার সকাল ৮টার দিকে শার্শার কুঁচিমোড়া-হাড়িখালী নামক স্থানে যশোরের নাভারণ-সাতক্ষীরা মহাসড়কে এ দূর্ঘটনা ঘটে। দু’টি বাসের মুখোমুখির ওই সংঘর্ষে খবির উদ্দীন নামে লোকাল বাসের এক চালক নিহত হয়েছেন। তার বাড়ি যশোরে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন- ঘন কুয়াশায় যশোরের শার্শায় দু’টি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাসের যাত্রী নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন।
যশোরের নাভারণ হাইওয়ে পুলিশের ওসি জহির উদ্দিন বলেন, বুধবার সকাল ৮টার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে নাভারণ-সাতক্ষীরা মহাসড়কের শার্শার হাড়িখালি নামক জায়গায়। এতে বাসের যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তাৎক্ষণিক তার পূর্ণাঙ্গ পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
শার্শার বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক (তদন্ত) সুকদেব রায় বলেন, সাতক্ষীরা কলারোয়ার বুঝতলা বিবিআরএনএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা গ্রীণ বাংলা পরিবহনের বাসে করে নাটোর রাজবাড়ি শিক্ষা সফরে যাচ্ছিলেন। এসময় যশোর থেকে ছেড়ে আসা সাতক্ষীরাগামী একটি লোকাল বাসের সাথে শিক্ষা সফরের বাসটির মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। এতে লোকাল বাসের চালকের মৃত্যু হয়েছে এবং অপর বাসের ২০ জনের আহত হয়েছে। আহতদের নাভারণের বুরুজবাগান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ যশোর ও সাতক্ষীরার বিভিন্ন হাসপাতালে ও প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে মৃত দেহ সনাক্ত করেছেন বিবি আরএনএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উয়ায়েস আলি সিদ্দিক বাবর।
অন্যদিকে কলারোয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবদুল হামিদ জানান, ‘বুঝতলার শ্রীরামপুরের বিবিআরএনএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-কর্মচারীরা মিলে শিক্ষা সফরে যাচ্ছিলেন।
শার্শার কুঁচেমোড়ার মোড় হাড়িখালি নামক স্থানে কুয়াশার কারণে দু’টি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অনেকেই আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৭জন শিক্ষার্থী ও আরো কয়েকজন শিক্ষক-কর্মচারী। তাদের মধ্যে একজন ছাত্রী ও বনিআমিন নামে এক শিক্ষকের অবস্থা গুরুতর।’
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক তিঁনি সেখানে গিয়েছেন জানিয়ে আরো বলেন, ‘দ্রুত সাহায্যের প্রয়োজন। সকলের দোয়া কামনা করছি। মহান আল্লাহ্তালা সবাইকে ভালো রাখুন।’
এঘটনায় শিক্ষা সফরে যাওয়া শিক্ষার্থীদের পরিবারসহ এলাকার অভিভাবক ও সুধিজনের মধ্যে বিরাজ করছে উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা।