মৃতের সংখ্যায় সার্স ভাইরাসকে ছাড়িয়েছে করোনা
প্রাণঘাতী করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ২০০২-০৩ সালে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া সার্স (সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম) ভাইরাসকেও ছাড়িয়ে গেছে। ওই সময় ২৫টি দেশে আট মাসে সার্স ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৮০৯৮ জন এবং প্রাণ হারিয়েছিলেন ৭৭৪ জন। আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে অনেক আগেই সার্সকে ছাড়িয়েছে করোনাভাইরাস।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে সিএনবিসি জানিয়েছে, চীনের মূল ভূখণ্ডে করোনাভাইরাসে এক হাজার ১১ জন মারা গেছেন। এছাড়া হংকং এবং ফিলিপাইনে এক জন করে মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
চীনের জাতীয় হেলথ কমিশনের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫ হাজার ১৭১ জন। এ ছাড়া এক লাখ ৮৭ হাজার ৫১৮ জন চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। এ ভাইরাসে আক্রান্ত তিন হাজার ২৮১ জন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
এদিকে জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরে কোয়ারেন্টাইনে রাখা যাত্রীবাহী ডায়মন্ড প্রিন্সেস জাহাজে আরো ৬৬ জন নতুন আক্রান্ত হওয়ায় সেখানে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩৬।
চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি এ জাহাজে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে জাপান ছাড়াও চীন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ড, তাইওয়ান, ফিলিপাইন ও আর্জেন্টিনার নাগরিক রয়েছেন।
এ ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা এবং প্রাণহানি বাড়তে থাকায় বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এরপর এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশগুলো ব্যাপক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।
এদিকে কোনো কোনো দেশ চীনা নাগরিকদের নিজ দেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে মাত্র ৩৫ দিনেই চীনের অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ রয়েছে এমন দেশের অর্থনীতিও ঝুঁকিতে পড়েছে।