করোনাভাইরাসের কারণে সাতক্ষীরায় উৎপাদিত কাঁকড়া ও কুঁচে রপ্তানি বন্ধ : বিপাকে ব্যবসায়ী

দেশের ৯০ শতাংশ কুঁচিয়া ও কাঁকড়া রপ্তানি হয় চিনে। আর এই রপ্তানি যোগ্য কুঁচিয়া ও কাঁকড়া সিংহভাগ উৎপাদন হয় সাতক্ষীরায়। সম্প্রতি চিনে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে এই প্রক্রিয়ার সাথে সম্পৃক্ত থাকা সাতক্ষীরার কয়েক হাজার মানুষ। ফলে অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশ ফলে একদিকে ব্যবসা বন্ধ অপরদিকে স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পাওনা টাকা দিতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন আড়ৎদাররাও।বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের নোনা এলাকা হিসাবে পরিচিত সাতক্ষীরা।

এ এলাকার বেশির ভাগ মানুষের জীবিকার প্রধান উৎস মৎস্যঘের হওয়ায় নোনা কুঁচিয়ার পাশাপাশি কাঁকড়া চাষে সৃষ্টি হয়েছে অপার সম্ভাবনা। গড়ে উঠেছে দেশের বৃহৎ কুঁচিয়া ও কাঁকড়ার বাজার। এখান থেকে চীনে রপ্তানির জন্য সাতক্ষীরা থেকে দু’তিন দিন পরপর পাঁচ থেকে ছয় টন কুঁচে ঢাকায় পাঠানো হতো। তবে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ফলে গত ২৫ তারিখ থেকে রপ্তানি বন্ধ থাকায় সংগ্রহকৃত কুচিয়া মরে যাচ্ছে ফলে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবসায়ীরা রাজস্ব হারাচ্ছে দেশ। ফলে একদিকে ব্যবসা বন্ধ অপরদিকে ঋণ ও স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পাওনা টাকা দিতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন আড়ৎদাররাও। ।

এদিকে কুঁচিয়া ও কাঁকড়া রপ্তানি বন্ধ থাকায় খেটে খাওয়া মানুষের সংসার পড়েছে সংকটে। চীনে রপ্তানি বন্ধ হওয়ার পর বাজার থেকে যে কুঁচিয়া কিনছেন তার বড় অংশই মারা যাচ্ছে। ফলে তারা আর্থিকভাবে লোকসানে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন এই ব্যবসায়ী।
সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের কারণে ২৫ জানুয়ারি থেকে বন্ধ হয়ে গেছে চীনে সাতক্ষীরার উৎপাদিত কুঁচিয়া ও কাঁকড়া রপ্তানি। তবে চীন বাদে অন্যদেশে রপ্তানি করার চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছেন জেলা মৎস্য অফিসার।

অবিলম্বে কাঁকড়া ও কুঁচিয়া রপ্তানি করা না গেলে এ পেশার সঙ্গে জড়িত সাতক্ষীরার কয়েক হাজার মানুষ কর্ম হীন হয়ে পথে বসতে পারে বলে আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)