খালি পেটে জিরা ভেজানো পানি খাবেন যে কারণে
ওজন কম থাকার অনেকগুলো সুবিধার মধ্যে একটি হলো- ছিমছাম থাকা যায়, চেহারায় বয়সের ছাপ পরে না সহজে, আবার যেকোনো পোশাকেও দেখতে সুন্দর লাগে। আরেকটি সুবিধা হলো- উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হরমোনের সমস্যার মতো নানা অসুখ-বিসুখও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
অনেকেই আছেন যারা ভীষণ ভোজনরসিক, খেতে খুব ভালোবাসেন। খাবার পেলে অতোটা বাছ-বিচার করেন না। এদিকে ওজনও বাড়তে থাকে পাল্লা দিয়ে। আবার সারাদিনের কাজের শেষে ক্লান্ত হয়ে জিমে যাওয়ার মতো শক্তি কিংবা আগ্রহও থাকে না। তারা এমন কিছু উপায় খুঁজতে থাকেন, যার মাধ্যমে সহজেই ওজন কমানো সম্ভব।
পরিশ্রম ছাড়া এমন কোনো উপায় অবশ্য নেই, যার মাধ্যমে ভরপুর খাওয়া-দাওয়া করেও দ্রুত ওজন কমানো সম্ভব। আমাদের প্রতিদিনের শারীরবৃত্তীয় কার্যকলাপ সুসম্পন্ন করার জন্য যতটা ক্যালোরির চাহিদা তৈরি হয় শরীরে, তার চেয়ে কম ক্যালোরি খাবারের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করালে ও সেইসঙ্গে কায়িক পরিশ্রম করে আরও খানিকটা খরচের ব্যবস্থা করলেই একমাত্র ওজন ধীরে ধীরে কমতে পারে। তবে এমন কিছু ঘরোয়া সমাধানও আছে যা মেনে চললে ফ্যাট বার্ন হওয়ার হার বাড়ে। তেমনই একটি হচ্ছে জিরা ভেজানো পানি।
জিরায় আছে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট, যা হজমের পক্ষে সহায়ক, কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতেও তার কার্যকর ভূমিকা আছে। তা শরীর থেকে বাড়তি টক্সিন বের করে দেয় এবং বাড়ায় বিপাক ক্রিয়ার হার। যারা ইনফ্ল্যামেশন বা প্রদাহের সমস্যায় ভোগেন, তাদের শরীর ঠান্ডা রাখতে জিরা ভেজানো পানি সহায়ক। তাই ডায়েটিং, নিয়মিত ব্যায়ামের পাশাপাশি খালি পেটে জিরা ভেজানো পানি খেলে আপনার ওজন কমার হার দ্রুত গতি পাবে।
যেভাবে তৈরি করবেন: বড় এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ জিরা ভিজিয়ে রেখে দিন সারারাত। পরদিন সকালে পানিটুকু ছেঁকে খেয়ে নিন। সামান্য একটু লেবু দিয়েও খেতে পারেন। যারা বদহজমের সমস্যায় ভুগছেন নিয়মিত, তারা এক বোতল পানিতে দুই চা চামচ জিরা ভিজিয়ে রাখুন সারা রাত। এক গ্লাস সকালে খালি পেটে খান, বাকি দুই গ্লাস খেতে হবে দুপুর ও রাতের খাওয়ার আধা ঘণ্টা আগে। তবে এর চেয়ে বেশি খেলে বমির মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।