ডিজিটাল ঝুঁকি মোকাবিলায় সরকারি প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা
ডিজিটাল তথ্য নিরাপত্তায় সব সরকারি প্রতিষ্ঠানে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সম্প্রতি ‘ডিজিটাল ডিভাইস, ইন্টারনেট এবং তথ্য রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপত্তা নির্দেশিকা-২০২০’ শীর্ষক এই নির্দেশনা দেয়া হয়।
সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সাইবার আক্রমণের শিকার হচ্ছে উল্লেখ করে জারি করা ওই নির্দেশিকায় বলা হয়, ইন্টারনেটে দাফতরিক ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের নিরাপত্তাঝুঁকি বেড়েছে। অন্যদিকে ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনে ইন্টারনেটভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনাও জরুরি। তাই ডিজিটাইজেশনের সঙ্গে সঙ্গে ডিজিটাল তথ্য-উপাত্তের নিরাপত্তাবিধান অত্যন্ত জরুরি। সেইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানের ডিজিটাল ডিভাইস সঠিকভাবে সংরক্ষিত হচ্ছে কি না, তা তদারকি করতে এবং সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিতে বলা হয়েছে।
এ জন্য বেশ কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যেমন- ডিজিটাল ডিভাইসের সুরক্ষায় করণীয়ের ক্ষেত্রে কম্পিউটারের সঙ্গে ইউপিএস ব্যবহার করা, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাব, মোবাইল ইত্যাদির পাসওয়ার্ড সুরক্ষিত রাখা, এসব ডিভাইসে রাখা গুরুত্বপূর্ণ ফাইল ‘জিপ’ আকারে রাখা, সব ডিজিটাল ডিভাইস নিয়মিত আপডেট করা, নিয়মিত অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার, ব্যাকআপ ফাইল পেনড্রাইভে রাখা, প্রয়োজন না হলে ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ, হটস্পট সংযোগ বন্ধ রাখা, সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান থেকে ইন্টারনেট সংযোগ নেয়া, নিশ্চিত না হলে কোনো অ্যাপ ইনস্টল না করা।
এ ছাড়া দাফতরিক কাজে ই-মেইল ব্যবহার নিশ্চিত করা, সন্দেহজনক ই-মেইল না খোলা, ব্রাউজারে স্থায়ীভাবে পাসওয়ার্ড না রাখা, প্রক্সি ওয়েবসাইট ব্যবহার না করা, সফটওয়্যারের চুক্তি শেষ হওয়ার আগেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, পাসওয়ার্ডের ক্ষেত্রে ব্যক্তির নাম, মোবাইল নম্বর, জন্ম তারিখ ব্যবহার থেকে বিরত থাকা, সার্ভার কক্ষ সুরক্ষিত রাখতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সতর্ক থাকা, বিশেষ করে পর্ন সাইট, জুয়া বা লটারিবিষয়ক সাইটে প্রবেশ না করা।
বন্যা, অগ্নিকাণ্ড, ভূমিকম্প ও সাইবার দুর্ঘটনার মতো আকস্মিক ঘটনার পর যাতে স্বল্পতম সময়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগে তথ্য উদ্ধার করা যায়, সেই ব্যবস্থাপনা রাখার জন্য নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে।