খুন জখম এবং মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির চেষ্টা :প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন
সাতক্ষীরা সদরের সরইচপুরে মারপিটের ঘটনায় মামলা করায় বাদীপক্ষকে মামলা তুলে নিতে নাশকতার মামলার আসামী কর্তৃক খুন জখম এবং মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে রইচপুর গ্রামের মৃত ফজলুল হক সরদারের পুত্র আব্দুল্লাহ সরদার এ অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত ২৩ জানুয়ারি‘২০ তারিখে একই এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু, একাধিক নাশকতার আসামী ছামছুদ্দিনের পুত্র মোঃ আঃ মজিদ, আঃ রহিম, আবু ছালেক নেতৃত্বে ১৫/২০ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী রইচপুর বিলে আমার মৎস্যঘেরে প্রবেশ করে আমাকে এবং পুত্র রেদোয়ান হোসেনকে অতর্কিত মারপিট করতে থাকে। এসময় তাদের ধারালো অস্ত্রের কোপে আমার পুত্র রেদোয়ান মারাত্মক জখম হয় এবং আমার পুরো শরীর থেতলে দেয়। আমাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাদের হাত থেকে আমাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। কিন্তু আমার পুত্র রেদোয়ানের অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এঘটনায় আমি বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় ২৪ জানুয়ারি (১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/১১৪) থারায় একটি মামলা দায়ের করি যার নং- ৫৬।
মামলা দায়েরের খবরে উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা আমাদের উপর আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং মামলা তুলে নিতে আমাকে এবং মামলার স্বাক্ষীদের খুন জখম এবং মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হুমকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে। তারা প্রকাশ্যে হুমকি প্রদর্শন করে বলছেন, মামলা তুলে না নিলে মামলার বাদী এবং স্বাক্ষীদের বাড়িতে মাদক দ্রব্য রেখে মিথ্যা হয়রানি মূলক মামলায় জড়িয়ে হয়রানি এবং রাস্তাঘাটে ফাঁকা পেলে খুন জখমের হুমকি-ধামকি প্রদর্শণ করে যাচ্ছেন।
এছাড়া তারা প্রভাবখাটিয়ে একটি মিথ্যা অভিযোগও থানায় জমা দিয়েছেন। সেটি মামলা হিসেবে রেকর্ডের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দপ্তরে ধর্ণা দিচ্ছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। একদিকে আমার পুত্র রেদোয়ান মারাত্মক অসুস্থ্য অন্যদিকে মিথ্যা মামলার ভয় এবং খুন জখমের হুমকি মাথায় নিয়ে বর্তমানে চরম আতংকের মধ্যে দিনাতিপাত করছি। আমি ওই নাশকতা মামলার আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং তারা যাতে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে আমাকে এবং পরিবারের সদস্যদের হয়রানি করতে না পারে সে বিষয়ে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।