শিশু শাওনের চিকিৎসায় সাহায্যের জন্যে মায়ের আকুতি
শিশুটির নাম শাহরিয়ার হোসেন শোভন। ওর বয়স মাত্র ১৩ মাস। ওর আধো আধো কথা শুনে মায়ায় জড়িয়ে যায় কেউ। মায়াবি চোখে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকায়। ক্ষুধা পেলে অন্য শিশুর মতোই কাঁদে। তবে অন্য শিশুর মতো শোভন খেতে পারে না। মুখ দিয়ে খাওয়ার সুযোগ নেই তার। জন্ম থেকেই শাওনের অন্ন নালী না থাকায় বিকল্পভাবে নাভির বরাবর ছিদ্র দিয়ে নলের সাহায্যে তরল খাবার খেয়ে বেঁচে আছে শাহরিয়ার হোসেন শাওন।
রাজধানী ঢাকার শিশু হাসপাতালে চিকিৎসকরা সাধ্যমত চেষ্টা করেও তার অন্ন নালী প্রতিস্থাপন করতে পারেননি। তাই শিশু শাওনকে ভারত কিম্বা সিঙ্গাপুরে নিয়ে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন। শিশু শাওনকে অন্ন নালী স্থাপন করতে না পারলে তাকে বাঁচানো যাবে না বলেও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। বিদেশে চিকিৎসা করাতে ও প্রয়োজনীয় খাদ্য কিনতে দরকার কমপক্ষে ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকা।
কিন্তু এতো টাকা কোথায় পাবে শাহরিয়াজ হোসেন শাওনের বাবা-মা? সাতক্ষীরা শহরেগড়েরকান্দা গ্রামের শরীফ হোসেন ও শারমিন সুলতানার একমাত্র ছেলে শাওন। বিগত ১৩ মাস ধরে শাওনের চিকিৎসা ও খাদ্য কিনতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন এ দম্পতি। জায়গা জমি সামান্য যা ছিল তা সন্তানের চিকিৎসায় ঘুচিয়ে ফেলেছন। গরীব অসহায় শারমিন সুলতানা বলেন, এখন তাদের এমন অবস্থা যে সন্তানের দুধ কেনার পয়সার জন্য অন্যের কাছে হাত পাততে হয়। কিন্তু এভাবে হাত পেতে আর কতদিন তাকে বাঁচিয়ে রাখা যাবে তা অনিশ্চিত।
তিনি আরো বলেন, প্রতিদিন সন্তানের জন্য কারো না কারো কাছে সাহায্যের হাত পাততে হয়। কোন কোন দিন ভাতের ফ্যান (মাড়) খাওয়াতে হয়। ক্ষুধা লাগলে সন্তানের কান্না মা হিসেবে সহ্য করা যে কত কষ্টের তা মা ছাড়া আর কেউ জানে না। তিনি ছেলের চিকিৎসায় সমাজের দয়ালু দানশীল ব্যক্তিদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছন। সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে সবটুকু সম্পদ বিক্রি করেছেন। এখন কিছুই নেই। তাই শাওনের চিকিৎসা ও খাদ্য কিনতে আজ সমাজের বিত্তশালী দয়ালু ব্যক্তিদের কৃপা কামনা করেন তিনি। তাকে সাহায্য পাঠানোর জন্য ০১৯৩০৫৭০২১৯ বিকাশ নম্বরে সকাতরে অনুরোধ জানিয়েছেন।