জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরগুলোর রহস্য জেনে নিন
প্রাপ্তবয়স্ক সবারই নিশ্চয়ই জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে! বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রমাণপত্র এটি। পরিচয় পত্র সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়। তবে আমরা অনেকেই জানি না গুরুত্বপূর্ণ এই কার্ডটির সংকেত নম্বরসমূহ সম্পর্কে। জ্বি, হ্যাঁ, ওই ১৩ বা ১৭ টি নম্বরের কথাই বলছি!
জাতীয় পরিচয়পত্রের নীচের দিকে লাল রংয়ের কালি দিয়ে লেখা থাকে ১৩ বা ১৭ সংখ্যার নম্বর। যাকে আমরা আইডি নম্বর হিসেবেও জানি। তবে এই ১৩ বা ১৭ সংখ্যার মানে কি? এবার তবে জেনে নিন পরিচয়পত্রের নম্বরের গোপন রহস্য।
* প্রথমেই জেনে নিন যাদের পরিচয়পত্রের সংখ্যা ১৭টি-
১. যাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ১৭ সংখ্যার তাদের প্রথম ৪টি সংখ্যা হচ্ছে জন্ম সাল। তবে প্রথম পর্যায়ে বিতরণকৃত জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরগুলো ১৩ সংখ্যার। এই নম্বরে জন্ম সাল যুক্ত করা হয়নি।
২. পরের ২টি সংখ্যা হচ্ছে জেলা কোড। যেমন: ঢাকার জন্য এই কোড ২৬।
৩. পরবর্তী সংখ্যাটি আরএমও কোড। সিটি কর্পোরেশনের জন্য ৯, ক্যান্টনমেন্ট ৫, পৌরসভা ২, পল্লী এলাকা ১। পৌরসভার বাইরে শহর এলাকা ৩, অন্যান্য ৪।
৪. পরের দুইটি সংখ্যা হচ্ছে উপজেলার কোড।
৫. পরবর্তী দুইটি সংখ্যা ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড কোড (পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশনের জন্য)।
৬. সবশেষ ছয়টি নম্বর হচ্ছে ব্যক্তিগত কোড নম্বর।
* এবার জেনে নিন যাদের পরিচয়পত্রের নম্বর সংখ্যা ১৩টি-
১) প্রথম দুই সংখ্যা জেলা কোড নির্দেশ করে। ৬৪ জেলার আলাদা আলাদা কোড আছে। ঢাকার জন্য এই কোড ২৬।
২) পরবর্তী সংখ্যাটি আরএমও কোড। সিটি কর্পোরেশনের জন্য ৯, ক্যান্টনমেন্ট ৫, পৌরসভা ২, পল্লী এলাকা ১। পৌরসভার বাইরে শহর এলাকা ৩, অন্যান্য ৪।
৩) পরবর্তী দুই সংখ্যা উপজেলা বা থানা কোডের ইঙ্গিত দেয়।
৪) পরবর্তী দু’টি সংখ্যা ইউনিয়ন (পল্লীর জন্য) বা ওয়ার্ড কোড (পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশনের জন্য)।
৫) আইডি কার্ড করার সময় আপনি যে ফরম পূরণ করেছিলেন শেষের ছয় সংখ্যা সেই ফরমের নম্বর।