সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন বুধবার সাংবাদিকদের জানান, প্রাইম মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড নামে একটি ‘হায় হায় কোম্পানি’ খুলে যশোর, সাতক্ষীরা, ফরিদপুর ও কুষ্টিয়া এলাকায় এই প্রতারণা করা হয়।
“বছরে শতকরা ৩০ ভাগ লভ্যাংশে সঞ্চয়পত্র খোলা, স্থায়ী আমানতে চার বছরে দ্বিগুণ টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় আড়াই হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে ১৫ কোটি টাকা নেয় তারা।”
২০১০ সালের জুলাই থেকে ২০১৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে এই টাকা তুলে নেওয়া হয় বলে পুলিশ কর্মকর্তা ফারুক জানান।
গত ৯ জানুয়ারি যশোরের কোতয়ালি থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার রাজু বর্তমানে রিমান্ডে আছেন। পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান সিআইডি কর্মকর্তারা।
ফারুক হোসেন বলেন, প্রতারিত গ্রাহকদের মধ্যে কুষ্টিয়ার রেহানা ও আমিরুলের করা মামলায় পুলিশ আগে একবার রাজুকে গ্রেপ্তার করেছিল। বছর দুয়েক কারাভোগের পর জামিনে বেরিয়ে আত্মগোপনে চলে যান তিনি।
এই মামলা ছাড়াও আরেক গ্রাহকের দুদকে করা অভিযোগের ভিত্তিতে ফরিদপুরে ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে আরেকটি মামলা হয়।
ফারুক হোসেন বলেন, সিআইডি এই মামলা তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর কয়েক বছর ধরে রাজুর পলাতক থাকার বিষয়টি জানা যায়। পরে খোঁজ নিতে গিয়ে দেখা যায়, তার বিরুদ্ধে ১৮টি প্রতারণার মামলা রয়েছে। সবগুলোতেই তিনি পলাতক। তার বিষয়ে খোঁজ নিয়ে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ফরিদপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে ও অনুসন্ধানে রাজুর পাঁচ কোটি টাকার অস্থাবর সম্পত্তি, দুটি বাড়ি, দুটি কাভার্ড ভ্যানসহ ১০ বিঘা জমি ছাড়াও প্রাইম মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের নামে দুটি গাড়ি ও ছয়টি জায়গায় জমির সন্ধান পাওয়া যায়।
রাজুর এক সহযোগী ২০১৫ সালে অপর এক গ্রাহকের করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগ করেছেন বলেও জানান সিআইডি কর্মকর্তা ফারুক।