জেলা জাতীয় পার্টির সম্পাদকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র; ছাত্র সমাজের প্রতিবাদ
সাতক্ষীরা জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান আশু ও তার পরিবারের সদস্যদের জড়িয়ে প্রতিপক্ষরা বিভ্রান্তিমূলক ষড়যন্ত্র ও উদ্দেশ্যমূলক একটি সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে সাতক্ষীরার একটি সাপ্তাহিক পত্রিকায়। যা ১৯ জানুয়ারি প্রকাশ হয়েছে।
প্রকাশিত সংবাদটিতে সাতক্ষীরার জাতীয় পার্টিকে পারিবারিক পার্টি হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। যা আদৌ সত্য নয়। আখ্যাটি ষড়যন্ত্র ও উদ্দেশ্যমূলক। প্রকাশিত এ সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় ছাত্র সমাজ সাতক্ষীরা জেলা শাখা।
প্রতিবাদ বিবৃতিতে জেলা ছাত্র সমাজের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল ইসলাম বলেন, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান আশুর স্ত্রী পার্টির রাজনৈতিক কোন কর্মকান্ডর সঙ্গে জড়িত নন। আশরাফুজ্জামান আশু ১৯৮৩ সালে জাতীয় পার্টির অঙ্গ সংগঠন নতুন বাংলা যুব সংহতির মাধ্যমে জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। এরপর পর্যায়ক্রমে ২০০৯ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর থেকেই দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক নির্ধারিত সময়ে সম্মেলনের মধ্য দিয়ে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। ভাইরা আনোয়ার জাহিদ তপন যোগ্যতা বলে পদ ধরে রেখেছেন।
তার বাবা মরহুম এ্যাড. আব্দুর রহিম জেলা জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠা সভাপতি ছিলেন। সাতক্ষীরা পৌরসভার কাউন্সিলর সৈয়দ মাহমুদ পাপাও যোগ্যতার পরিচয় দিয়ে দলে টিকে আছেন। জেলা ছাত্র সমাজের সভাপতি মেঝ ছেলে কায়সারুজ্জামান হিমেল সম্মেলনের মধ্য দিয়েই সভাপতি হয়েছেন। ছোট ছেলে কায়মুজ্জামান পাভেলও যোগ্যতা বলে সদর উপজেলার দায়িত্ব পালন করছেন। জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান আশু কখনোই দলীয় পদকে ব্যবহার করে তার পরিবারের সদস্যদের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসাননি। সকলেই তাদের যোগ্যতা ও মেধাবলে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেয়েছেন সম্মেলন ও দলীয় নেতাকর্মীদের সমর্থনে। জেলা ছাত্র সমাজের সকল নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ষড়যন্ত্রমূলক এ সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।