কেশবপুরের ভেরচী বাজার কমিটির সভাপতির নামে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে ব্যবসায়ীদের সংবাদ সম্মেলন
যশোরের কেশবপুরের ভেরচী বাজার কমিটির সভাপতি এস এম মাহাবুরের নামে থানায় ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে বাজারের ব্যাবসায়ীরা শনিবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
ভেরচী বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে বলেন, ভেরচী গ্রামের দিলীপ সেনের পূত্র মনিশংকর সেন ভেরচী সরকারী প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে রাস্তার উপর ইট, বালু, খোঁয়া, ভাঙ্গাড়ী-সহ গৃহনির্মাণ সামগ্রী রেখে ব্যবসা করে আসছে। ফালে বিদ্যালয় দুটির কোমলমতি শিক্ষার্থীদের চলাচলে দারুন ভাবে বিগ্নসহ মারাতœক দূর্ঘটনার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। যার প্রেক্ষিতে ছাত্র-ছাত্রীদের নির্বিগ্নে চলাচলের জন্য রাস্তার উপর থেকে গৃহনির্মাণ সামগ্রী সরিয়ে নেওয়ার জন্য ভেরচী বাজার কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর ভেরচী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোছাঃ আয়রিন সুলতানা ও ভেরচী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রমেশ চন্দ্র পাল গত ১২ জানুয়ারি পৃথকভাবে ২টি আবেদন করেন।
গত ১৭ জানুয়ারি শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাস্তার উপর দশ চাকার ট্রাক রেখে মনিশংকর সেন বালু আনলোড করার সময়ে বাজার কমিটির সভাপতি ও গৌরীঘোনা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক এস এম মাহাবুর রহমান রাস্তার উপর ট্রাক না রাখা ও রাস্তার উপর থেকে গৃহনির্মাণ সামগ্রী সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করেন। এসময় মণিশংকর ও তার অপর দুই ভাই দিপংকর এবং শুভংকর সেন এস এম মাহাবুর রহমানকে গালিগালাজ করলে তিনি প্রতিবাদ করেন। কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে মণিশংকর, দিপংকর ও শুভংকর সেন লোহার রড দিয়ে বাজার কমিটির সভাপতি এস এম মাহাবুর রহমানের উপর আঘাত করার চেষ্টা করলে তিনি সামান্য আহত হন। এসময় অন্যান্য ব্যাবসায়ীরা এগিয়ে এসে মাহাবুর রহমাকে উদ্ধার করে সরিয়ে নিয়ে যান। এঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে একটি কুচক্রী মহলের ইন্ধনে মনিশংকর গং কেশবপুর থানায় একটি মিথ্যা, বানোয়াট ও হয়রানিমূলক মামলা করেন। এব্যাপারে তিনি-সহ বাজারের ব্যাবসায়ীরা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে উক্ত ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্য ব্যাবসায়ীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।