ডুমুরিয়ার আলোকিত মানুষ সাধন কুমার বসু
ডুমুরিয়ার একজন আলোকিত মানুষের নাম সাধন কুমার বসু। তার আয়ের ৮০ ভাগ অর্থ গরীব ছাত্র/ছাত্রীদের মাঝে ব্যায় করেন।
ডুমুরিয়া উপজেলার অন্তর্গত ৩ নং রুদাঘরা ইউনিয়ন শোলগাতিয়া গ্রামে তার জন্ম।তিনি বর্তমান চুকনগর মহাবিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগে অংকের প্রভাষক হিসাবে নিয়োজিত আছেন। উনার আয়ের মাসিক ৮০% অর্থ হত দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ার পিছনে ব্যয় করেন।
উনার জীবদ্দশায় বিলাসিতা কি তা আজ পর্যন্ত সেই অংক কেউ মেলাতে পারেনি!কতিথ আছে এই গ্রামে প্রথম বিজ্ঞানে পড়া মেধাবী( বি এ অনার্স)ম্যাথের ছাত্র তিনি। সেই পুরাতন একখানা সাইকেল চালিয়ে চুকনগর মহাবিদ্যালয় যাতায়াত করেন।একটি প্লাষ্টিকের জুতা আর কমদামী সাদা জামা অনেক দিন ধরে ব্যবহার করেন।
উনার কর্মজীবনে অনেক বড় বড় চাকরির অফার ও সুযোগ পেয়েছেন কিন্তুু উনি কখনো নিজেকে দূরে কোথাও চাকরি করতে চলে যতে হবে ভেবে তা তিনি করেননি। গ্রামের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার স্বার্থের কথা ভেবে দূরে কোথাও যাননি!
উনার বাড়িতে প্রায় সময় ছাত্রছাত্রীরা লেখাপড়ার জন্য ভীড় জমায়। হাজার কষ্টের মাঝেও ছেলেমেয়েদের নিয়ে রুটিন অনুযায়ী তাদের পাঠদান করে চলেছেন।
এই মহান ব্যক্তির হাতে গড়া অনেক ছাত্রছাত্রী কেউ ডাক্তার কেউ বা ইঞ্জিনিয়ার হয়েছে! বিনিময়ে তাদের কাছ থেকে কোন অর্থ নেননি বরং উল্টা ফ্রি বই খাতা কলম সরবরাহ করেছেন।
বর্তমান উনার দুই কন্যা ও এক পুত্র। স্ত্রী একটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। পুত্র “শ্রী আশীষ কুমার বসু “মেডিকেল কলেজের ছাত্র।
উনি সনাতন ধর্মের লোক তথাপী সাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাসী না। সকল ধর্মের লোক উনার কাছে সমান!
শুনেছি উনি সবজি কিনতে যেয়ে সবজি-বিক্রেতার কথা চিন্তা করে পোকাধরা-আধাপচা গুলো কিনে নেন!!
উনি কখনো একটা পিপড়াকে পর্যন্ত আঘাত করেন না। স্যারের শার্টের উপর পিপড়া উঠলে অপেক্ষা করেন পিপড়াটা নিচে নামা পর্যন্ত যদি পিপড়ার গায়ে আঘাত লাগে। তিনি এমনি এক ভালেবাসার মানুষ।
Please follow and like us: