আশাশুনির খাজরায় বাঁশের শাঁকো দিয়ে তিনটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খাজরায় একটি মাত্র বাঁশের শাঁকোর উপর দিয়ে তিনটি বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থী ও স্থাণীয় এলাকাবাসী জীবনের ঝুকি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে যাতায়াত করে আসছেন। খাজরা ইউনিয়নের গজুয়াকাটি সরকারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন চেউটিয়া খালের উপর নির্মিত বাঁশের শাঁকোটি এলাকার মানুষের পারাপারের একমাত্র সম্বল। বর্তমানে শাঁকোটি জরাজীর্ণ ও নড়বড়ে হয়ে যাওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বাইনতলা আর.সি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ত্রয়োদশ পল্লী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় এবং গজুয়াকাটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছ্ত্রা-ছাত্রীদের একটি বড় অংশ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ ঝুঁকিপূর্ণ শাঁকোর উপর দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে থাকে। এছাড়া স্থানীয় এলাকাবাসীও বিভিন্ন প্রয়োজনে উপজেলাসহ পাশ্ববর্তী কয়েকটি বাজারে এই শাঁকো দিয়ে যাতায়াত করে থাকে। এর ফলে কৃষি কাজসহ নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় তাদের। বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে বহুবার অবগতি করা হলেও অদ্যাবধি তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। একাধিক অভিভাবক জানান, শাঁকোটি অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার পরও শত ব্যস্ততার মাঝেও ছেলে মেয়েদের এই বাঁশের এ শাঁকো পার করে স্কুলে পাঠাতে হয়।
অনিতা, স্বরসতিসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, ঝুঁকিপূর্ণ এ শাঁকোটি পারাপার হতে তাদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। অনেক শিক্ষার্থী পা পিছলে শাঁকো থেকে খালের পানিতে পড়ে বইপত্র নষ্ট ও আহত হলেও ঝুঁকিপূর্ণ এ শাঁকোর স্থানে এখনও ব্রীজ বা কালভার্ট নির্মানের ব্যবস্থা করা হয়নি।
কোমলমতি শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে ঝুঁকিপূর্ণ এ বাঁশের শাঁকোর স্থানে অতিদ্রুত ব্রীজ বা কালভার্ট নির্মানের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল।