খুলনায় তীব্র শীতে আমরণ অনশনে পাটকল শ্রমিকরা
মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন ও বকেয়া আদায়সহ ১১ দফা দাবিতে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকদের আমরণ অনশন সোমবারও অব্যাহত রয়েছে। খুলনায় গতকাল তীব্র শীত উপেক্ষা করে রাস্তায় রাত কাটিয়েছেন কয়েক হাজার শ্রমিক। বেশ কয়েকজন শ্রমিক অনাহারে আর শীতে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। অনশন শুরুর পর থেকেই এলাকায় দোকানপাটও বন্ধ করে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
খুলনার প্লাটিনাম, খালিশপুর, দৌলতপুর, ইস্টার্ন, আলিম, ক্রিসেন্ট জুট, যশোরের জেজেআই, কার্পেটিং মিলের শ্রমিকরা নিজ নিজ মিল গেটে এ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। তবে স্টার জুট মিরের শ্রমিকরা খালিশপুর বিআইডিসি সড়কে কর্মসূচি পালন করছেন। এছাড়াও চট্টগ্রাম, নরসিংদী ও রাজশাহীর মিল গেটে এ অনশন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন অসংখ্য শ্রমিক।
শ্রমিকদের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে- পাটকলগুলো আধুনিকীকরণ, চাকরিতে শ্রমিকদের স্থায়ীকরণ, জুট গুডস ম্যান্ডেটরি অ্যাক্ট পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন, বকেয়া পিএফ ও গ্র্যাচুইটির টাকা প্রদান ইত্যাদি।
গতকাল রোববার দুপুর ২টায় এ কর্মসূচির ঘোষণা করে সিবিএ-ননসিবিএ সংগ্রাম পরিষদ।
শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে মিলগুলোতে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। তীব্র শীতের মধ্যে শ্রমিকরা মিছিল-স্লোগানে মুখর করে তুলেছেন শিল্প এলাকাগুলো। এলাকার দোকানপাটও বন্ধ রয়েছে।
শ্রমিক নেতারা জানান, সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাজধানীতে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পাটকল শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানসহ পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ জুট মিল কর্পোরেশনের (বিজেএমসি) চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকেও তারা শ্রমিকদের দাবি বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি। তাই শ্রমিকরা বাধ্য হয়ে মিলের উৎপাদন বন্ধ রেখে আমরণ অনশনে অংশ নিচ্ছেন।
খুলনার প্লাটিনাম জুট মিল সিবিএর সাবেক সভাপতি বাংলাদেশ রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ নন-সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক খলিলুর রহমান বলেন, আমরণ অনশন চলছে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।