সূর্যগ্রহণের সময় যা করবেন; যা করবেন না
বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ শুরু হয়েছে আজ বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তা দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশে এটি দুপুর ২টা পর্যন্ত চলবে বলে জানা গেছে। এই গ্রহণের সময় সূর্যকে রক্তাক্ত আংটির মতো দেখাবে। এজন্য বিজ্ঞানীরা এর নাম দিয়েছেন ‘রিং অব ফায়ার’।
সূর্যগ্রহণের সময় কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখবেন। আসুন জেনে নেই বিষয়গুলো সম্পর্কে-
১. খালি চোখে কয়েক সেকেন্ডের জন্য সূর্য গ্রহণ দেখলেও তা রেটিনার ওপর প্রভাব ফেলে। যার কারণে একটা চোখে দৃষ্টিশক্তিও হারাতে পারে মানুষ। তাই খালি চোখে এই গ্রহণ দেখতে না করেছে নাসা।
২. পেরিস্কোপে, টেলিস্কোপ, সানগ্লাস বা দূরবীন, কোনও কিছুর সাহায্যে গ্রহণ দেখার সময় সূর্যের দিকে সরাসরি তাকাতে বারণ করা হয়েছে। গ্রহণের সময় সূর্য রশ্মি অত্যন্ত সংবেদনশীল থাকে যা চোখে প্রভাব ফেলতে পারে।
৩. সানগ্লাস বা ঘষা কাঁচ দিয়েও এই গ্রহণ দেখতে বারণ করেছে নাসা। কারণ, এইগুলো নিরাপদ না।
৪. বিজ্ঞানীরা বলেছেন, বিশেষ গ্রহণ গ্লাস বা সোলার ফিল্টার দিয়েই এই গ্রহণ দেখা উচিত।
৫. বাজারে আইএসও স্বীকৃত বিশেষ সোলার গ্লাস দিয়ে একমাত্র এই গ্রহণ দেখা নিরাপদ।
৬. সেসব গ্লাস ব্যবহারের আগে অবশ্যই ব্যবহার নির্দেশিকা পরে নিতে উপদেশ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। কোনোভাবে সেই গ্লাস ভাঙা বা দাগ থাকলে ব্যবহার করতে না করেছে তারা।
৭. সূর্যগ্রহণ চলাকালীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্র, খাবার খেতে বারণ করেছে। একমাত্র বৃদ্ধ, অসুস্থ ও গর্ভবতী নারীরা হালকা খাবার নিতে পারবেন বলে বলা আছে। যদিও আধুনিক বিজ্ঞান এই দাবিকে মান্যতা দেয়নি।
৮. প্রাচীন ভারতীয় গাঁথা বলে, রাহুর গ্রাসে সূর্য। তাই গ্রহণ হয়, যা জনজীবনে প্রভাব ফেলে। রোগ-ব্যাধি ছড়ায়। সে কারণে আগেকার দিনে ভারতীয়রা রান্না বন্ধ রেখে বাইরে বেরিয়ে এসে সূর্য প্রণাম করতেন কিংবা স্নান করে শুদ্ধ হতেন।কিছু কিছু কুসংস্কার আবার এমন আছে, গর্ভবতী নারীর গর্ভে থাকা বাচ্চার জন্য সূর্য গ্রহণ অত্যন্ত বিপজ্জনক। তাই সেসব নারীদের গ্রহণ চলাকালীন ঘরের বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হতো না।
উল্লিখিত নিয়মগুলো বিভিন্ন শাস্ত্রমতে প্রসিদ্ধ। তবে সত্যতা যা-ই হোক না কেন, সতর্কতা অবলম্বন করতে দোষ কী?