নারী পুরুষের মধ্যে ১০টি আশ্চর্যজনক মানসিক পার্থক্য
প্রত্যেকটি মানুষই একে অপরের থেকে আলাদা। তেমনিভাবে নারী-পুরুষের মধ্যেও রয়েছে বেশ কিছু পার্থক্য। যা স্বাভাবিকভাবেই আপনাকে অবাক করবে।
একজন ব্যক্তি চরিত্র গড়ে ওঠে সে কোন পরিবেশে বেড়ে উঠছে, তার পারিপার্শ্বিক লোকজন কেমন, এমন অনেক কারণের উপর নির্ভর করে। নারী-পুরুষের শারীরিক গঠনে পার্থক্য থাকলেও, সে কোন পরিবেশে বেড়ে উঠছে, তার উপরেই নির্ভর করে তার মানসিকতা।
মনস্তত্ত্ববিদদের ব্যাখ্যা অনুয়ায়ী, ছেলে ও মেয়ের ব্রেনের কাজ করার উপরেই মানসিক এই বিভেদ ঘটে। ‘সাইকোলজি টুডে’ নামে এক মেডিক্যাল ওয়েবসাইটের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, নারী-পুরুষের মধ্যে ১০টি মানসিক পার্থক্য রয়েছে-
১. পুরুষদের ব্রেন স্বাভাবিকভাবেই অংক কষতে পছন্দ করে। নারীরা পছন্দ করেন কথা বলতে।
২. নারীরা ঝগড়া করলেও, সচরাচর মারামারি করে না। কিন্তু, পুরুষদের ক্ষেত্রে প্রাধান্য পায় সেটাই।
৩. কোনো সিদ্ধান্ত নিতে গেলে, আবেগকে প্রাধান্য দেয় না পুরুষরা। কিন্তু, নারীরা আনুষঙ্গিক অনেক কিছু ভেবে সিদ্ধান্ত নেয়।
৪. মজার কিছু হলে পুরুষরা হাসেন, কিন্তু নারীরা গোপনে হাসেন।
৫. পুরুষদের কাছে তাদের গাড়ি অত্যন্ত প্রিয় বস্তু হয়, তাই তা পরিষ্কার রাখতে পছন্দ করে। কিন্তু, নারীরা মনে করে, গাড়ি পরিষ্কার করা আর জুতার তলা পরিষ্কার একই ব্যাপার।
৬. আবেগজড়িত ঘটনার কথা পুরুষদের তুলনায় বেশি মনে করেন নারীরা।
৭. জীবনে স্ট্রেস বাড়লে, পুরুষদের শারীরিক চাহিদা বাড়ে। যা একেবারেই উল্টো নারীদের ক্ষেত্রে।
৮. মানুষ বিচার করার ক্ষমতা পুরুষদের তুলনায় অনেকটাই বেশি হয় নারীদের।
৯. একজন নারীর প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার প্রথম কারণ তার সৌন্দর্য। অন্য দিকে, কেয়ারিং বিশেষ আকর্ষণ করে না নারীদের।
১০. সমস্যার কথা সাধারণত কারোর সঙ্গে আলোচনা না করেই মেটানোর চেষ্টা করে পুরুষরা। কিন্তু, নারীরা তা আলোচনা না করতে পারলে বেশি সমস্যায় পড়েন।