চুলের খুশকি ও রুক্ষতা দূর করার দারুণ উপায়
শীতের সময়টাতে অন্য সবকিছুর থেকে চুলের যত্নে দিতে হয় বাড়তি নজর। এসময় শ্যাম্পু করলেও চুলের মসৃণতা সহজেই নষ্ট হয়। মাথার ত্বক শুষ্ক থাকায় খুশকি সমস্যায় ফেলে।
আবার আবহাওয়ার কারণেও চুলের নিজস্ব লাবণ্য নষ্ট হয়। চুলের মসৃণতা ধরে রাখতে ও রুক্ষতা কমাতে কতকিছুই না করতে হয়। অনেকেই আবার ভরসা করেন হেয়ার মিস্টের উপর। তবে বাজারের মিস্টগুলোতে রাসায়নিকের আধিক্য বেশি থাকে। ফলে তাৎক্ষণিক সমাধান দিলেও দীর্ঘদিন ব্যবহারে চুল ক্ষতগ্রস্ত হতে পারে।
চিন্তার কিছু নেই! বাড়িতে থাকা কিছু উপাদান দিয়ে নিজেই বানিয়ে নিন হেয়ার মিস্ট। এটি আপনার চুলে জট পড়া, খুশকি, রুক্ষতা কমাতে সহায়তা করবে। এছাড়াও চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াবে অভাবনীয় ভাবে।
গ্রিন টি মিস্ট
এই মিস্টের প্রধান উপকরণ চা পাতা। চায়ের লিকার এমনিতেই চুলের সেরা কন্ডিশনার। তাই চুলের রুক্ষতাকে কমানোর পাশাপাশি এই মিস্ট চুলকে নরমও করে। গ্রিন টি মিস্ট বানাতে আধা কাপ গ্রিন টি, এক কাপ পানি, দুই থেকে তিন ফোঁটা পিপারমিন্ট অয়েল, এক চা চামচ টি ট্রি অয়েল ও এক চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে ভাল করে ব্লেন্ড করে নিন। এই মিশ্রণটি একটি পুরনো শ্যাম্পুর স্প্রে বোতলে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন।
টি ট্রি অয়েল অ্যান্টিফাঙ্গাল হওয়ায় খুশকির সমস্যাও দূর করবে। নারকেল তেল চুলে পুষ্টির জোগান দেবে। প্রতিদিন গোসলের পর মিস্ট লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। এরপর পানি দিয়ে ভালো করে চুল ধুয়ে নিন। এতে আপনার চুলের লাবণ্য ও আর্দ্রতা দুটিই বজায় থাকবে।
অ্যালোভেরা মিস্ট
মাঝে মাঝেই চুলের আর্দ্রতা কমে গিয়ে রুক্ষ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে ভরসা রাখতে পারেন অ্যালোভেরার হেয়ার মিস্টে। এটি বানাতে আধা কাপ অ্যালোভেরার রস নিয়ে নিন। এর সঙ্গে এক কাপ পানি, এক চা চামচ জোজোবা অয়েল ও এক চা চামচ নারকেল তেল ভালো করে মেশান। এবার এই মিশ্রণটি শ্যাম্পুর বোতলে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন। গোসলের পর মিস্ট লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। এরপর পানি দিয়ে ভালো করে চুল ধুয়ে নিন। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন ব্যবহার করুন।
মনে রাখবেন, মিস্ট একবার তৈরি করে একটানা চার থেকে পাঁচ দিন ব্যবহার করতে পারবেন। যেকোনো একটি ব্যবহার করুন। একসঙ্গে দুটি ব্যবহার করবেন না।