শ্যামনগরে দাতিনাখালীতে ভয়াবহ নদীভাঙ্গন এলাকাবাসী আতংকিত
শ্যামনগর উপজেলার দাঁতিনাখালীর ৫নং পোল্ডারে নদী ভাঙ্গন আবারও মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে সামন্য বেড়ীবাঁধ টুকু ছুটে গিয়ে নীলডুমুর বর্ডার গার্ড হেড কোয়াটার, নৌ-থানা, বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান ও মৎস্য ঘের নদীর পানিতে ডুবে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি সহ জান মালের ব্যাপক ক্ষতি হবে। বর্তমানে ভাঙ্গঁনকৃত এলাকায় বসবাসকারী মানুষ আতংকের মধ্যে বসবাস করছে।
এ ভাঙ্গনকৃত এলাকায় জাপানের অর্থয়ানে জাইকা কারিতাসের বাস্তবায়নে বাঁশের পাইলিং ও মাটির কাজ করা হয়। তাহা সবই নদী গর্ভে চলে গেছে। সম্প্রতি পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে বালু ভর্তি জিও’র বস্তা ফেলানো হয়েছে। তারপরেও নদী ভাঙ্গন রোদ করা সম্ভব হচ্ছে না। এলাকার প্রবীণ ব্যক্তিদের অভিমত হলও, যত সময় নদীর স্রোত ভাঙ্গন এলাকা থেকে ভিন্ন পথে প্রভাবিত করা না হবে তত সময় নদী ভাঙ্গন রোধ করা সম্ভব নয়।
এ ভাঙ্গন রোধে সরকারী ভাবে ও বিভিন্ন এনজিও কাজ করছে। তবে টেকসই পরিকল্পনার মাধ্যমে কাজ না হলে ভাঙ্গন রোধ করা সম্ভব হবে না। ভাঙ্গন এলাকার অজিয়ার রহমান মোড়ল জনান, নদী ভাঙ্গন এর কারণে আমরা ভিটাবাড়ী ছাড়তে ছাড়তে আর আমাদের জমি নাই। এবারও ভিটাবাড়ী ছাড়লে রাস্তার পার্শ্বে সরকারী জায়গায় ঘরবাধা ছাড়া আর কোন পথ নেই। তিনি আরও বলেন নদীতে ব্লক ফেলিয়ে বা নদীর স্রোত ভিন্ন পথে প্রভাবিত করে নদী ভাঙ্গন রোধ করা সম্ভব। এবিষয়ে এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। শ্যামনগর পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে দাতিনাখালী নদী ভাঙ্গন এলাকায় আরও জিও বস্তার বরাদ্ধ হয়েছে অতিশ্রীঘই কাজ হবে।