কালিগঞ্জে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যে এসিড মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানি করার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে ষড়যন্ত্রমূলক এসিড মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন কালিগঞ্জ উপজেলাধীন রতনপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বর ঐক্যপরিষদের নেতৃবৃন্দ। লিখিত বক্তব্যে ইউপি সদস্য জিএম মাসুম বিল্লাহ সুজন বলেন রতনপুর ইউনিয়নের একাধিক অপকর্মের হোতা আরিফুর রহমান ছোটনের সাথে দুলাবালা গ্রামের মৃত কওছার আলী গাজীর পুত্র সাইফুদ্দীন গাজীর সাথে জমি জমা সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
এঘটনায় গত ২৮/৮/১৯ তারিখে সাইফুদ্দীন গাজী বাদী হয়ে আরিফুল রহমান ছোটনসহ ২১ জনকে আসামী করে বিজ্ঞ সাতক্ষীরা আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলার অন্যতম সাক্ষী গফুর গাজীরপুত্র রতনপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বর বাবু গাজী ও ইমান আলী সরদারের পুত্র সিরাজুল ইসলাম। আদালত উক্ত মামলাটি আমলে নিয়ে কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জকে এফ আই আর হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দেন। এঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ছোটন গং সাইফুদ্দিন ও তার সাক্ষীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। এর জের ধরে গত ১৮/১১/২০১৯ তারিখ রাতে সাইফুদ্দিন গাজীর দায়ের কৃত মামলার এজাহাভুক্ত আসামী এবং ছোটনের অন্যতম সহযোগী গফফার গাজীর পুত্র রফিকুল ইসলামকে কৌশলে এসিড নিক্ষেপ করে। এবিষয়টি পুজি করে কালিগঞ্জ থানায় একটি ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যে মামলা দায়ের করে। এ মামলার খবর পেয়ে মেম্বর বাবু গাজী ও সিরাজুল ইসলাম কালিগঞ্জ থানায় হাজির হলে পুলিশ তাদের আটক করে।
তিনি বলেন এসিড নিক্ষেপের মত ঘটনার সাথে জড়িত কোন ব্যক্তি স্বেচ্ছায় থানায় এভাবে হাজির হতে পারে এমন নজির আমাদের জানা নেই। উক্ত এসিড নিক্ষেপের ঘটনা সম্পর্কে বাবু মেম্বর ও সিরাজুল ইসলাম অবগতই ছিলেন না। তারা লোকমুখে খবর শুনে সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে আটক হন।
মামলা বাদী ভিকটিমের স্ত্রী আরিফা খাতুন তার এজাহার বর্ণিত বর্ণনায় উল্লেখ করেছেন, উল্লেখিত তারিখ মোতাবেক রাত অনুমান ৩ টার সময় তার স্বামী মোঃ রফিকুল ইসলাম প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে বাথরুমে যেয়ে বসার সাথে সাথে পেছন দিক থেকে আসামীদ্বয় প্লাস্টিকের জগে করে এসিড নিক্ষেপ করেছেন। এরপরও অত্র মামলায় ভিকটিম সাক্ষী নয়। যারা সাক্ষী হয়েছেন তারা সাইফুদ্দিন গাজী কর্তৃক আনিত এফ আই আর মামলার ৪নং ও ৯নং এজাহারভুক্ত আসামী এবং অন্যান্য ২জন সাক্ষী ৪ ও ৯নং আসামীর স্ত্রী। এসকল বর্ণনার আলোকে স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় ছোটনের প্রকাশ্যে মদদে ও পরিকল্পনায় বিপক্ষকে ঘায়েল করার মানষে উক্ত এসিড নিক্ষেপের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। আসল ঘটনা গোপন করে বাবু মেম্বর ও সিরাজুল ইসলামকে আসামী করে মামলা করে উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপিয়ে ফয়দা লুটার চেষ্টা করেছেন ওই আরিফুর রহমান ছোটন।
এব্যাপারে তিনি বাবু মেম্বর ও সিরাজুল ইসলামের নামে ষড়যন্ত্র মূলক মামলা প্রত্যাহার পূর্বক তাদের নিঃশর্ত মুক্তি ও এসিড নিক্ষেপের মত জঘন্য কাজ যারা করেছেন তদন্ত-পূর্বক তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থার দাবিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন,ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, আহসানুল হাবিব, মো; রফিক আহম্মদসহ এলাকার অন্যান্য ব্যক্তি প্রমুখ।