প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
চলতেতলা পুজা মন্দিরের বিরোধপূর্ণ জায়গা পরিদর্শন করলেন জেলা নেতৃবৃন্দ শিরোনামে গত রবিবার (২৪ নভেম্বর) দৈনিক দৃষ্টিপাত পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে শনিবার বিকেলে জেলা পুজা উদযাপন পরিষদ ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান পরিষদের নেতৃবৃন্দ উভয় পক্ষের কাছে শোনা বোঝার পর বিরোধ পূর্ণজমি মীমাংসার চেষ্টা করলেও চালতেতলা মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ রাজি হলেও অপর পক্ষ বরুণ ঘোষ রাজী হয়নি। এজন্য জেলা পুজা কমিটির নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
মূলত বিষয় গত শনিবার (২৩ নভেম্বর) জেলা পুজা কমিটির নেতৃবৃন্দ এসে মীমাংসার কথা বললে আমি তাতে রাজি হয়। কিন্তু তারা আমাকে বলে আমার করা মামলা উঠিয়ে নিতে। আমি তাদেরকে বিনীত ভাবে বলি মামলা আমি উঠালে তাদের ও মামলা উঠিয়ে নিতে হবে। এরপর আপনারা বসাবসি করে যে সিদ্ধান্ত দিবেন আমি সেটাই মেনে নিব। কিন্তু তারা আমার কথায় রাজী না হয়ে আমকে দেখে নেবে বলে শাসায়।
মূলত বিষয় হলো পুজা মন্দিরের নাম করে কিত্তিবাস ঘোষ, পুলক চন্দ্র হালদার,স্বপন ঘোষ ও অরুণ ঘোষসহ আরও অনেকে গত কয়েক বছর ধরে আমার নিজের জমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এরমধ্যে মন্দিরের নাম ভাঙ্গিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও থানা থেকে আরম্ভ করে স্থানীয় অনেক জায়গায় জমি আমার নামে জমি দখলের অভিযোগ এনে লিখিত অভিযোগ করে। তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সব স্থানে আমি জমির দলিল নিয়ে হাজির হয়ে আমি ওই জমির প্রকৃত মালিক এমনই লিখিত দেয় উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী। উভয় পক্ষের মীমাংসার জন্য থানায় বসাবসি হলে সেখানে তাদের কোন দলিল দেখাতে পারেনি।
এরপর সাতক্ষীরা আদালতে ১৪৫ ধারায় একটি মামলা করে। এরই প্রেক্ষিতে আদালত উপজেলা ভূমি অফিসের কানুনগো মহাদয়ের উপর তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন। কানুনগো সরেজমিনে তদন্ত করে চলে আসলে পুলক,স্বপন, কিত্তিবাস ও অরুণঘোষসহ অনেকে আমার মামা, মামী,মামাতো ভাই ও আমার উপর হামলা চালায়। এসময় আমার মামীর কাছে থাকা সোনার চেইন ও আমার কাছে থাকা ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এবং আমার মামাকে প্রচন্ড মারধর করে। তাছাড়া আমার ম্যানেজার শেখর ঘোষকে মারধর করে মটর সাইকেল ভাংচুর করে এবং তার কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নেয় পুলক,স্বপন, কিত্তিবাস ও অরুণঘোষের পোষা সন্ত্রাসী বাহিনীরা ।
স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এরপর ৪-৫ জনকে আসামী করে আমি কালিগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করি। এরপর মিথ্যা আহতের নাটক করে কিত্তিবাস ঘোষ ৮ জনকে আসামী করে কাউন্টার মামলা দায়ের করে। তাছাড়া তদন্ত করে ভূমি অফিসের কানুনগো আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। সেই প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন মন্দিরের জমি এক শতক ও আমার ভিতরে নেই। একদল স্বার্থনেশী মহল আমার সুনাম ক্ষুণ্ণ করার জন্য সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিয়ে উক্ত মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে।
আমি উক্ত প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
প্রতিবাদকারী
বরুণ কুমার ঘোষ
ভাড়াশিমলা,কালিগঞ্জ।