রং ফরসাকারী ক্রিমে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি
প্রায় সকল বিউটি কনসালটেন্টের কাছে মানুষের একটি সাধারণ প্রশ্ন হলো—কীভাবে ফরসা হওয়া যায়? ইন্টারনেটেও এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে মরিয়া মানুষ। এ বিষয়ে ইন্টারনেটে আর্টিকেলেরও অভাব নেই। মানুষের এই ফরসা হওয়ার আকাঙ্ক্ষাকে পুঁজি করে অনেকেই ব্যবসা পেতে বসেছেন। নামিদামি কোম্পানির পাশাপাশি অনলাইনেও অনেকে বিক্রি করছেন ফরসা হওয়ার ক্রিম।
কিন্তু ফরসা হওয়ার এই ক্রিম নিয়ে দারুণ উদ্বেগ প্রকাশ করে মানুষকে ফরসা হওয়ার ক্রিম ব্যবহার করার বিষয়ে সতর্ক করেছে যুক্তরাজ্য। সম্প্রতি দেশটিতে বাণিজ্য মান নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তাদের হাতে এ ধরনের কিছু পণ্য জব্দ হওয়ার পর এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
এলজিএর সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, অনেক পণ্যে ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান হাইড্রোকুইনোন থাকে। এছাড়া অনেক ক্রিমে মার্কারি বা পারদ থাকার কথাও জানা গেছে। কিছু খুচরা ব্যবসায়ী, অনলাইন, বাজারের কিছু দোকানিসহ এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী এ ধরনের পণ্য বিক্রি করছে। তারা সব সময় পণ্যের সঠিক মাত্রা উল্লেখ করে না, যার কারণে ভোক্তারা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েন।
এলজিএর মতে, হাইড্রোকুইনোন এমন এক রাসায়নিক যা জৈবিক রং পরিবর্তনের এক ধরনের উপাদান বা পেইন্ট স্ট্রিপার। এই রাসায়নিক মানুষের ত্বকের একটি স্তরকে অপসারণ করে দিতে পারে। এর ফলে ত্বকের ক্যানসার, যকৃত এবং কিডনির মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি হয়। পারদ থেকেও একই ধরনের প্রাণঘাতী স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরির আশঙ্কা থাকে। চিকিত্সকের অনুমোদন ছাড়া যুক্তরাজ্যে হাইড্রোকুইনোন, স্টেরিয়েড বা পারদ রয়েছে এমন ক্রিম তাদের মারাত্মক ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে যুক্তরাজ্যে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এলজিএর নিরাপদ ও শক্তিশালী কমিউনিটি বোর্ডের চেয়ারম্যান সিমন ব্ল্যাকবার্ন বলেন, ‘নিষিদ্ধ পণ্যসমৃদ্ধ ত্বকের ক্রিম খুবই বিপজ্জনক এবং এগুলো স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। সারাজীবনের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ডেকে আনতে পারে তাই এগুলোকে যে কোনো মূল্যে এড়িয়ে চলা উচিত।
এসব ক্রিমে কি উপাদান রয়েছে তা সব সময় ভোক্তাদের খতিয়ে দেখা উচিত। খুব কম দাম হলে আরো বেশি সচেতন হওয়া উচিত কারণ সেগুলো নকল এবং ক্ষতিকর হতে পারে। সেই সঙ্গে হাইড্রোকুইনোন রয়েছে এমন পণ্য ব্যবহার করা উচিত নয়। ক্রিমে যদি কোনো ধরনের উপাদানের উল্লেখ না থাকে তাহলে সেটির ব্যবহার এড়িয়ে যাওয়াই উত্তম।