২০২০ সালে দ্রুত প্রবৃদ্ধির দেশ হবে বাংলাদেশ
দ্রুত এগোচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। ২০২০ সালে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। তখন দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে দ্রুত প্রবৃদ্ধির দেশ হবে বাংলাদেশ। সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এক ব্লগপোস্টে এ মন্তব্য করা হয়েছে।
ব্লগপোস্টে বলা হয়, প্রতিবেশী দেশ ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও আফগানিস্তানের চেয়ে দ্রুত গতিতে বড় হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের পূর্বাভাস, ২০২০ সালে ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম স্থানে থাকবে বাংলাদেশ। ভারত ৭ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকবে। ৬ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি থাকবে মালদ্বীপ ও নেপালে। তালিকায় ২ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে সবার নিচে থাকবে পাকিস্তান।
ব্লগপোস্টে বাংলাদেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক অর্জনের ভূয়সী প্রশংসা করে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন অর্জন বৈশ্বিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর দেশটি অত্যন্ত দরিদ্র ছিল। কিন্তু এখন সেই দেশের গড় প্রবৃদ্ধির হার ৮ শতাংশ। এরইমধ্যে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার যোগ্যতা বাংলাদেশ অর্জন করেছে।
ব্লগপোস্টে আরো বলা হয়, স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে উন্নীত হওয়ার মানে হলো বাংলাদেশের মোট জাতীয় আয় যেমন বেড়েছে, তেমনি মানবসম্পদ, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ঝুঁকি মোকাবিলার সক্ষমতা বেড়েছে।
বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। ২০১০ সালে যেখানে দিনে এক ডলার ৯০ সেন্টের চেয়ে কম আয়ের শ্রমিকের সংখ্যা ছিল ৭৩ দশমিক ৫ শতাংশ, সেখানে ২০১৮ সালে তা ১০ দশমিক ৪ শতাংশে নেমে এসেছে।
ব্লগপোস্টে আরো বলা হয়, দেশের রফতানির প্রায় ৮৫ শতাংশ আসছে তৈরি পোশাক খাত থেকে। এই খাতের আকার দাঁড়িয়েছে ৩০ বিলিয়ন ডলারে। পাশাপাশি অর্থনীতির বহুমুখীকরণও ঘটছে। মোট দেশজ উৎপাদনের ৫৩ শতাংশই আসছে সেবা খাত থেকে।
শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিশুমৃত্যু রোধ ও গড় আয়ু বাড়ানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জনের প্রশংসা করা হয়েছে। অনেক অর্থনীতিবিদ বাংলাদেশের এই অর্জনের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। ভারতের চেয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার বেশি।