১৫ দিনের মধ্যে নিয়োগ হবে পাঁচ হাজার চিকিৎসক
আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ৪৭৫০ জন ডাক্তার নিয়োগ হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। এর ফলে প্রতি উপজেলায় ৯ থেকে ১০ জন করে নতুন ডাক্তার
নিয়োগ হবে বলে জানান তিনি। প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, ৩৯তম বিশেষ বিসিএস উত্তীর্ণ এসব ডাক্তারদের ফাইল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় হয়ে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন নিয়ে এখন রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে হারুনুর রশীদের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্বাস্থ্যমন্ত্রী সংসদে অনুপস্থিত থাকায় তার পক্ষে প্রশ্নের জবাব দেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য সেবায় জনবল বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। সেটা কিন্তু সবাই উপলব্ধি করছি। ৩৯তম বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে প্রায় ৪ হাজার ৭৫০ জন চিকিৎসক নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এসব চিকিৎসক নিয়োগ হলে স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহের ক্ষেত্রে স্বাচ্ছন্দ্য আসবে।
বিশেষ বিসিএসে প্রায় ৪ হাজার ৫৫০ জন সাফল্যের সঙ্গে পাস করেছেন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই চিকিৎসকদের নিয়োগের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে অনুমোদন দিয়েছে। এখন এ চিকিৎসকদের নিয়োগ রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে, তিনি এখন বিদেশ সফরে রয়েছেন। রাষ্ট্রপতি দেশে ফিরে এলেই অনুমোদন করবেন। এসব চিকিৎসকদের মধ্যে প্রায় ৪ হাজার ৫০০ জনকে বিভিন্ন উপজেলায় পদায়ন করা হবে। এবার প্রতি উপজেলায় ৯-১০ জন করে চিকিৎসক পেতে যাচ্ছি। নিয়োগের এ প্রক্রিয়া সর্বোচ্চ ১৫ দিনের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করছি।
জাতীয় পার্টির এমপি মুজিবুল হক চুন্নুর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার ইতোমধ্যে চিকিৎসকদের সব ধরনের সংযুক্তি বাতিল করে দিয়েছে এবং সার্ভিস রোল অনুযায়ী সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের তাদের চাকরির শুরু থেকে কমপক্ষে দুবছর উপজেলাতে তাদের কর্তব্য স্থানে থাকতে হবে। তারপর উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য তারা আসতে পারবেন। সে বিষয়ে আমি নিজে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে কথা বলেছি।
বিএনপির আরেক এমপি রুমিন ফারহানার সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, যত্রতত্র অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধে সরকার অল্পদিনের মধ্যেই নির্দেশনা জারি করবে।
সরকারদলীয় এমপি গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকারের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, নকল-ভেজাল ওষুধ চিহ্নিতকরণ বিষয়ে অনলাইনভিত্তিক রিপোর্টিংয়ের জন্য ওয়েব পোর্টাল ও মোবাইল এপ্লিকেশন চালুর পরিকল্পনা করছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামের আওতায় প্রকল্পটি বর্তমানে পাইলটিং পর্যায়ে রয়েছে।