৪৮ ঘণ্টায় ৩২ ফিলিস্তিনি নিহত
ইসরায়েলের হামলায় গাজা শহরে ফিলিস্তিনের ইসলামিক জিহাদের এক নেতা নিহত হওয়ার পর উপত্যকায় নতুন করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। তারপর থেকে ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৩২ জন নিহত হয়েছেন বলে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনের ইসলামিক জিহাদের নেতা বাহা আবু আল-আতা ও তার স্ত্রী নিহত হওয়ার পর গাজা উপত্যকা থেকে ফিলিস্তিনি গ্রুপের সদস্যরা ইসরায়েলে রকেট হামলা করে। তারপর ইসরায়েলের পাল্টা হামলা শুরু করলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর
আজ বৃহস্পতিবার গাঁজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় ফিলিস্তিনের একই পরিবারের ছয়জন নিহত হয়েছেন। তারা সবাই বেসামরিক নাগরিক। হাসপাতাল কর্মকর্তা ও স্থানীয় বাসিন্দরা বলছেন, সর্বশেষ ছয়জনসহ গত ৪৮ ঘণ্টায় ইসরায়েলের হামলায় ৩২ জন নিহত হলেন।
বৃহস্পতিবারের ভোরের কিছুক্ষণ আগে গাজা উপত্যকরা দেইর আল-বালাহতের চালানো এই হামলা নিয়ে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী এখনো কোনো মন্তব্য করেনি। তবে ওই হামলায় ফিলিস্তিনের আরও অন্তত ১২ জন মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে তারা।
বুধবার, ১৩ নভেম্বর
বুধবার ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদের কমান্ডার নিহত হওয়ার পর মিসরের মধ্যস্থতা করতে আসে। তারা ফিলিস্তিনকে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয়। ইসলামিক জিহাদ বলে, যদি এটা না মানা হয় তাহলে তারা আন্তঃসীমান্তে ব্যাপক হামলা চালাবে।
লেবাননভিত্তিক আল মায়েদ্বীন টিভিতে এক সাক্ষাৎকারে ইসলামিক জিহাদের নেতা জিয়াদ আল-নাখালা এই শর্ত দেয়া ছাড়াও তাদের যোদ্ধা ও গাঁজা উপত্যকায় বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে ইসরায়েল যে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তা বন্ধ করতে হবে। এছাড়া ফিলিস্তিনি ছিটমহলে অবরোধ শিথিল করতে হবে।
গতকাল ফিলিস্তিনের গাজা বিষয়ক মন্ত্রণালয় সর্বশেষ ২৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছিল। গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, নিহত ২৬ জনের মধ্যে ৭ বছরের এক শিশুসহ দুজন সংখ্যালঘুও ছিলেন। এছাড়া ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন বলেও জানায় তারা।