দেবহাটায় বীমা করে প্রতারণার শিকার অনেক পরিবার
দেবহাটার কুলিয়াতে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স ও পদ্মা ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে জীবন বীমা খুলে প্রতারিত হয়েছেন বহু পরিবার। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, কুলিয়া বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত জোহর আলীর ছেলে বাছতুল্যাহ ওরফে বাশার আলীর (৫৫) মাধ্যমে ওই দুটি ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে জীবন বীমা খুলে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন তারা। বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল করিম মোল্যার ছেলে জাহিদ হোসেন বলেন, ২০১৬ সালে প্রতিমাসে ১ হাজার টাকা করে বাশার আলীর মাধ্যমে ১০ বছর মেয়াদী একটি জীবন বীমা করেন তিনি। সেখান থেকে প্রায় ৩ বছর ধরে বাশারের মাধ্যমে প্রায় ৩০ হাজার টাকা বীমায় জমা দেন তিনি। কিন্তু মাত্র ১ হাজার টাকা জমার একটি রিসিভ কপি পেয়েছেন তিনি।
তাছাড়া সঞ্চয় পত্রের মুল দলিলে অজ্ঞাত ব্যাক্তির ছবি লাগিয়ে তার হাতে ধরিয়ে দিয়েছে বাশার আলী। একই গ্রামের আব্দুল জলিল মোল্যার ছেলে এজাহার আলী মোল্যা বলেন, ২০০৭ সালে বাশার আলীর মাধ্যমে পদ্মা ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে বার্ষিক ২হাজার ৪’শ ৭৫ টাকা করে সঞ্চয়ের জন্য ১০ বছর মেয়াদী একটি জীবন বীমা শুরু করেন তিনি। ২০১২ সাল পর্যন্ত নিয়মিত টাকাও জমা দেন তিনি। কিন্তু পরবর্তীতে তার টাকা জমার রিসিভ কপি না দিয়ে হয়রানী এবং টাকা জমা নেয়া বন্ধ করে দেন বাশার আলী। বালিয়াডাঙ্গার জাকির হোসেনের স্ত্রী সালমা খাতুন বলেন, ২০১৬ সালে প্রতিমাসে ১ হাজার টাকা করে স য়ের জন্য বাশারের মাধ্যমে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্সে ১০ বছর মেয়াদী একটি জীবন বীমা খোলেন তিনি। সেসময় থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত নিয়মিত টাকা জমা দিয়েছেন তিনি।
কিন্তু গত বছরের নভেম্বর পর্যন্ত টাকা জমার রিসিভ দিলেও পরবর্তী ১১ মাসের রিসিভ এখনো তাকে না দিয়ে হয়রানী করছে বাশার আলী। একই গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে মজিবর রহমান ও মৃত জলিল মোল্যার ছেলে শাহিনুর ইসলাম বলেন, মজিবর রহমান ২০১১ সালে এবং শাহিনুর ২০০৯ সালে মাসিক ২১০ টাকা হারে স য়ের জন্য বাশারের মাধ্যমে পদ্মা ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে ১০ বছর মেয়াদী পৃথক দুটি জীবন বীমা শুরু করেন। এদের মধ্যে ২০ মাসের টাকা জমা দিয়ে ১৭ মাসের রিসিভ পান মজিবর। আর ২০১২ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত প্রায় চার বছর টাকা জমা দিয়েও পরে তরী ডুবেছে দুজনেরই। তারা বলেন, ওই সময়ের পর থেকে তারা টাকা জমা দিতে চাইলেও টাকা জমা নেননি বাশার আলী। বরং তাদের জমাকৃত কষ্টের টাকা দান করে দেয়া হয়েছে বলে তাদেরকে জানিয়ে দেয় বাশার আলী। বর্তমানে বাশার আলীর মাধ্যমে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স ও পদ্মা ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে জীবন বীমায় স য় করে পথে বসেছে প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগী পরিবার গুলো।
এই বিষয়ে জানার জন্য বাশার আলীর মোবাইল ফোনে একাধীকবার ফোন দিলেও বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।