বরিশালে উপকূল দিবস উপলক্ষে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত
১৯৭০ সালের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে নিহতদের স্মরণে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে ।মঙ্গলবার বরিশাল অশ্বিনী কুমার হল প্রাঙ্গণে উপকূল দিবস বাস্তবায়ন কমিটির আহবানে বাংলাদেশ মডেল ইয়ুথ পার্লামেন্ট ও ইয়ূথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের যৌথ আয়োজনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।এতে বরিশালের বিভিন্ন সংগঠনের যুব প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করে।
সকাল ১১ টায় নগরের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে মানবন্ধন কর্মসূচি পালিত হয় ।
বাংলাদেশ মডেল ইয়ুথ পার্লামেন্টের চেয়ারপার্সন ফিরোজ মোস্তফার সভাপতিত্বে ও আরিফুর রহমান শুভর সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন উন্নয়ন সংগঠক শাহেদ বিল্লাহ ,মুশিফক সৌরভ,আরিফিন পারভেজ ,তানজিলা আহম্মদ,সুরমা আক্তার,আকাশ সাহাসহ আরও অনেকে
বক্তারা ১২ নভেম্বরকে সরকারিভাবে ‘উপকূল দিবস’ হিসেবে পালনসহ উপকূলীয় এলাকা এবং প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের মানুষের উন্নয়নে উপকূল ও চর অঞ্চল উন্নয়ণ বোর্ড গঠনে সরকারের প্রতি আহবান জানান। বাংলাদেশ মডেল ইয়ূথ পার্লামেন্টের মুশিফক সৌরভ জানান বরিশালের উপকূলীয় এলাকা এবং প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের শিশু ও কিশোর-কিশোরী ও তাদের পরিবার প্রয়োজনীয় ন্যুনতম নাগরিক সেবা থেকে এমনিতেই বঞ্চিত এবং তার ফলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে তাদের স্বাভাবিক বিকাশ, উন্নয়ন, সুরক্ষা এবং অংশগ্রহণ। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সাইক্লোনের মত ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় দুর্গম দ্বীপসমূহ এবং পুরো উপকূলীয় অঞ্চলের অবস্থা আরো শোচনীয় করে তুলছে। এর ফলে মানুষের খাদ্য, পানি, জ্বালানি, স্বাস্থ্য ও জীবিকার নিরাপত্তাকে যেমন ঝুঁকিপূর্ন করেছে তেমনি মানুষের স্থানচ্যুতি ও স্থানান্তরিত হওয়ার সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দিয়েছে। তাই উপকূলীয় এলাকায় অবকাঠামো নির্মাণে বিশেষ করে পরিবেশ-বান্ধব স্থায়ী বাধ নির্মাণ, নারী ও শিশুবান্ধব আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ এবং শহরে জলবায়ু সহনীয় অবকাঠামো নির্মাণে বিশেষ বাজেট বরাদ্দ দিতে হবে’।
১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় বয়ে যায় উপকূলের ওপর দিয়ে। এ সময় নিহত ও নিখোঁজ হাজারো মানুষ। ওই ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় পাঁচ লাখ লোকের প্রাণহানি ঘটেছে বলে বলা হলেও বেসরকারি হিসাবে প্রায় দশ লাখ। গবাদি পশু, জমির ফসল, বাড়ি-ঘরসহ ব্যাপক সম্পদের ক্ষতি হয়। এই ঘূর্ণিঝড় লন্ডভন্ড করে দেয় উপকূল। এই ঘূর্ণিঝড় গোটা বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল।