সাতক্ষীরায় ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাব শুরু : চলছে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত
ঘূর্ণিঝড় বুলবুল এর প্রভাবে সাতক্ষীরায় শুক্রবার ভোর থেকে ও আজ শনিবার ভোর থেকে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছে। শুক্রবার সকাল থেকে আজ এখনো পর্যন্ত দেখা মেলেনি সূর্যের ।ইতিমধ্যে সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চল শ্যামনগর উপজেলায় এর প্রভাব বেশি দেখা দিয়েছে । সুন্দরবন বেষ্টিত এই উপজেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের সাথে বাইছে দমকা হাওয়া । এখানের মানুষ বাড়ি ঘর ছেড়ে চলে আসছে আশ্রয়ণ প্রকল্পে।
এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ নং সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। জেলায় স্কুল কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করে স্ব-স্ব এলাকায় অবস্থান করতে বলা হয়েছে। হাসপাতাল ও কমিউনিটি ক্লিনিক সার্বক্ষণিক খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উপকূলীয় এলাকার মানুষদেরকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবেলায় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে দূর্গত এলাকার মানুষের জন্য নগত টাকা চলডাল ও শুকনা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য জেলা প্রাশাসন ও উপজেলা প্রশাসন মনিটরিং ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুর্যোগের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ও মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় জেলার ২৭০টি আশ্রয় কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও ১২শ স্কুল-কলেজ বিকল্প আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রয়েছে। একই সাথে প্রত্যেক ইউনিয়নে মেডিকেল টিম প্রস্তুতকরণ, পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও খাওয়ার পানি মজুদ রাখা, দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে উদ্ধার কার্যক্রম চালানোর জন্য ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স ও স্বেচ্ছছাসেবক প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।