ঘোনার চেয়ারম্যান মোশা অনুপ্রবেশকারি বহিষ্কারের দাবি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঘোনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান মোশা কে আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশকারী ও মহাদূর্নিতী পরায়ন ব্যক্ত হিসেবে দাবি করে তাকে দল থেকে বহিষ্কার সহ তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগ সহ সরকারের বিভিন্ন মহলে অভিযোগ দাখিল করেছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সহ এলাকার সাধারণ নাগরিক।

গতকাল সোমবার ৪ নভেম্বর দুপুর ১টায় নেতৃবৃন্দ জেলা আওয়ামীলীগের কাছে এ অভিযোগ পত্র দাখিল করেছেন।অভিযোগ কারি ঘোনা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বার বার নির্বাচিত সভাপতি প্রবীণ রাজনীতিক সরদার রহিলউদ্দীন ( এম এ)।তিনি তার দাখিল কৃত অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেছেন, ঘোনার চেয়ারম্যান মোশা একজন অনুপ্রবেশকারী ব্যক্তি। সে জামায়াত পরিবারের সদস্য। তার বাবা ১৯৭১সালে পাকিস্তান গর্ভমেন্টের সৃষ্টি পিস কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসলে আওয়ামীলীগ সে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ করে।পরবর্তীতে বি এন পি জামায়াত ক্ষমতায় আসলে সে আবার স্বদলে ফিরে যায়।চেয়ারম্যান মোশা ২০০২সালে রাজাকার খালেক মন্ডলের হাতে বয়াত হয়ে ঘোনা ইউনিয়ন পরিষদের প্যাডে লিখিত অঙ্গিকারনামার মাধ্যমে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামিতে যোগদান করে। অঙ্গিকার নামায় চেয়ারম্যান মোশা স্ব হস্তে লিখিতদেন যে” তিনি আজীবন রাজাকার খালেক মন্ডলের সহচার্যে থেকে জামায়াত সংগঠনের হয়ে কাজ করবেন।

এমতাবস্থায় আবারও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসলে চেয়ারম্যান মোশা গায়ে কালো কাপড় জড়িয়ে অজানা শক্তির জোরে, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের মতামত উপেক্ষা করে আওয়ামীলীগে যোগদান করে এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলির সদস্য পদে জায়গা করে নেন।এরই ধারাবাহিকতায় তিনি গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামীলীগের বেশকিছু নেতার পরোক্ষ অন্যায়ভাবে নৌকা প্রতীক পান এবং চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

ইউনিয়ন সভাপতি সরদার রহিল উদ্দীন তার লিখিক অভিযোগ পত্রে আরো উল্লেখ করেন যুদ্ধাপরাধীর অভিযোগে রাজাকার খালেক সন্ডল আটক হওয়ার পর চেয়ারম্যান মোশা বড়ই বে সামাল হয়ে পড়েন এবং ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা মামলা, নির্যাতন,নিপড়িনে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।সে উদ্দেশে গত ২০১৭সালের ৩১মার্চ মোশার সৃষ্টি “দা” বাহিনী দিয়ে আমার বাড়ি, আমার সাধারণ সম্পাদকে , ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি,ওতার বৃদ্ধপিতা আব্দুল করিমকে পিটিয়ে কুপিয়ে জখম করে।এঘটনায় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বাদি হয়ে চেয়ারম্যান মোশা ও তার দা বাহীনির নামে থানায় মামলা করে যার নং জিআর ১৯৭/১৭ (সাত)।এ ঘটনায় জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ স্থানীয় ঘোনা বাজারে একপ্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত হয়ে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।

অপরদিকে দাখিল কৃত দরখাস্তে চেয়ারম্যান মোশার বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ করা হয়,সে একজন চিহ্নিত চোরাচালানি। ঘোনা এবং গাজিপুর সীমান্তের দুটি চোরাঘাট এবং দুটি গরুখাটাল সে পরিচালনা করে গত ১০ বছরে কয়েশ কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।পৈত্রিক সূত্রে তিনি সাড়ে ৬বিঘা জমির মালিক হলেও বর্তমানে তিনি ৫০ বিঘা ক্রয়সুত্রে মালিক হয়েছেন। তাছাড়া দাঁতভাঙ্গা বিলের ওপাদা ভেড়ি বাঁধের পারে সরকারি ২০০বিঘা খাসজমি জোর পূর্বক দখল করে মাছ চাষ করছে এবং একটিপ্রাইভেট কার কিনেছেন যারদাম ২৭ লক্ষ টাকা,সাতক্ষীরা মধুমোল্যার ডাঙ্গি একটি ছয়তলা ভবন নির্মাণ করেছেন কয়েক কোটি টাকা,অপরদিকে গ্রামের ঘোনা বাজারের উপর একটি দ্বিতল ভবনও নিজবাড়ির দলহুজ ঘর করেছেন তিনতলা।এসব অর্থ সম্পূর্ন দূর্নিতীর মাধ্যমে রোজগার করা।

এদিকে তিনি পেশা হিসেবে বাঁশদহ গ্রামে স্থাপিত শহিদ সৃম্মিতি কলেজে শিক্ষকতা করেন।সেখানে ও তিনি দুর্নিতীর মাধ্যমে কোটি টাকা আত্বসাত করেন।সে ঘটনায় কলেজে তাকে চেয়ারম্যান সোশার বিরুদ্ধে এলাকাবাসী ঝাড়ু মিছিল করে। এবং কলেজের প্রতিষ্টাতার ভাই আব্তুল্যাহ আলমাহমুদ বাদি হয়ে বিঙ্গ দুর্নীতি দমন ট্রাব্যুনাল সাতক্ষীরা আদালতে একটি মামলা করেন যার নং পিটিশন ৭/১৭। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন।দরখাস্তে তদন্তপূর্বক চেয়ারম্যান মোশাকে অনুপ্রবেশকারী ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত করে তাকে বহিষ্কার সহ আইনের আওতায় নিয়ে শাস্তির দাবি জানানো জয়।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)