আরব সাগরে মহা ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঢাকার আকাশ মেঘলা
রাজধানীর আকাশ আজ ভোর থেকেই হালকা ধোঁয়াচ্ছন্ন। সকাল ৯টার পর মেঘে ঢাকা পড়ে যায় পুরো আকাশ। তারপর মাঝেমাঝে তেজহীন রোদেরও দেখা মেলে। রোদ না দেখতে পাওয়া এবং তেজহীন রোদের এই পরিস্থিতি আজ রোববারই প্রথম তৈরি হয়েছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আরব সাগরে সৃষ্ট মহা ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এই অবস্থার তৈরি হয়েছে।
এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, ‘আরব সাগরে একটি মহা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়েছে। সেই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সৃষ্ট মেঘের বাইরের একটি অংশ বাংলাদেশে এসেছে। সেই কারণে এই ঘুমোট আবহাওয়ার সৃষ্টি হয়েছে।’
তবে এই অবস্থা সহসাই কাটছে না। শনিবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদফতর বলেছিল, উত্তর আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, ‘আজকে (৩ নভেম্বর) রাতে বা কালকে (সোমবার) এই লঘুচাপটি তৈরি হতে পারে। আরব সাগরের প্রভাব কাটতে না কাটতেই আবার আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপ সৃষ্টি হয়ে তা নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। তখন ওটার মেঘ আবার চলে আসতে পারে। তাই এই অবস্থা কয়েক দিন বিরাজ করতে পারে।’
তবে হয়তো আরব সাগরের প্রভাব চলে যাওয়ার পর অল্প বিরতি দিয়ে আন্দামান সাগরের প্রভাব পড়তে পারে। মাঝখানে হয়তো একটু বিরতিও থাকতে পারে। আবার না-ও থাকতে পারে বলে জানান এই আবহাওয়াবিদ।
শীত অনুভূত হওয়ার বিষয়ে ওমর ফারুক বলেন, ‘এতে শীত বাড়বে না। বরং শীতের যে প্রভাব বিরাজমান আছে, সেটাও কমে আসতে পারে। কারণ মেঘের আবহ থাকলে শীতের অনুভূতি কমে যায়।’