নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে নতুন তথ্য দিলেন সাকিব

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) দেয়া নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে নতুন তথ্য দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। তিনি জানান, পুরো তদন্ত প্রক্রিয়া ছিল অত্যন্ত গোপনীয়। শাস্তি ঘোষণার মাত্র ক’দিন আগে বিসিবি বিষয়টি জানতে পারে।

শুক্রবার দিনগত রাত দেড়টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজ থেকে দেয়া এক পোস্টে এমনটাই জানান সাকিব।

সমর্থক ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের উদ্দেশ্যে তিনি লেখেন-

‘আমার ও আমার পরিবারের দুঃসময়ে আপনাদের নিঃস্বার্থ সমর্থন ও ভালোবাসায় আমি সত্যিই আবেগাপ্লুত। গত ক’দিনে আমি আগের চেয়ে অনেক বেশি উপলব্ধি করেছি; দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার মর্ম আসলে কী।

যারা আমাকে দেয়া শাস্তির কারণে ক্ষুব্ধ হয়েছেন, আমি তাদের শান্ত ও ধৈর্য ধরার অনুরোধ করছি।

আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই যে, আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী ইউনিটের পুরো তদন্ত প্রক্রিয়াটা ছিল অত্যন্ত গোপনীয় এবং শাস্তি ঘোষণার মাত্র ক’দিন আগে আমার থেকে বিসিবি বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পারে। এরপর থেকে বিসিবি আমাকে সর্বোচ্চ সহায়তা করেছে এবং আমার পরিস্থিতি অনুধাবন করতে পেরেছে। আমি সেজন্য কৃতজ্ঞ।

আমি বুঝতে পারি, কেনো আমাকে এত মানুষ সাহায্য করতে চাইছেন এবং সেটার মূল্যায়ন আমি করি। কিন্তু সবকিছুর একটা প্রক্রিয়া আছে। আর আমি আমাকে দেয়া শাস্তি মেনে নিয়েছি, কারণ আমি অনুভব করেছি সেটি করাই যথার্থ ছিল।

এখন আমার একমাত্র লক্ষ্য, মাঠে ফেরা এবং ২০২০ সালে বাংলাদেশের হয়ে খেলা। ততদিন পর্যন্ত আমাকে হৃদয়ে রাখবেন, প্রার্থনায় রাখবেন। ধন্যবাদ।’

আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটের রায়ে আইন লঙ্ঘন করায় গেল ২৯ অক্টোবর ক্রিকেট থেকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা পান সাকিব আল হাসান। তবে অভিযোগ স্বীকার করে তদন্তে সহযোগিতা করায় নিষেধাজ্ঞা কমে হয়েছে এক বছর।

তিনবার জুয়াড়ির কাছ থেকে অনৈতিক প্রস্তাব পেয়েও তিনি আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটে বিষয়টা জানাননি। এতে দীর্ঘ সময় ধরে চলা তদন্তে দোষী প্রমাণিত হন সাকিব।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)