জাতীয় স্বার্থ আমার অফিসের শীর্ষ অগ্রাধিকার- কাস্টম কমিশনার বেনাপোল
বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার মোহাম্মাদ বেলাল হোসেন চৌধুরী বলেছেন, জাতীয় স্বার্থ আমার অফিসের শীর্ষ অগ্রাধিকার ৷ ২৭ শে অক্টোবর ২০১৯ ইং তারিখে একটি আন্তর্জাতিক সাপ্তাহিক পত্রিকা ” দি ইকোনোমিতে” তিনি একথা বলেছেন। খালেদ মাহমুদের সম্পাদনায় প্রকাশিত ওই ম্যাগাজিনে তিনি আরো বলেছেন বেনাপোল স্থল বন্দর দেশের প্রাচীনতম এবং বৃহত্তম বন্দর এটি । সমস্ত আইনত আমদানিযোগ্য পণ্য(আমদানি নীতি আদেশ অনুসারে) এই বন্দরের মাধ্যমে আমদানির অনুমতি দেওয়া হয় ।
তুলা এবং দুধ ব্যতীত এক ভাবে বলা যেতে পারে সমস্ত আইনি রপ্তানিযোগ্য পণ্য (রপ্তানি নীতি আদেশ অনুসারে) এই বন্দরের মাধ্যমে রফতানি করার অনুমতি দেওয়া হয় ৷ এছাড়াও মোহাম্মাদ বেলাল হোসেন চৌধুরী ” দি ইকনোমি” সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন পত্রিকার সম্পাদক খালেদ মাহমুদের সাথে এক সাক্ষাৎকারও দেন।
ঐ সাক্ষাতে তিনি বেনাপোল কাস্টম হাউজের অতীত থেকে শুরু করা কার্যক্রম আজ অবধি কতটুকু অগ্রগামী হয়েছে এবং গত দেড় বছর যাবৎ তিনি তার দায়িত্ব পালন কালীন সময় কাজের অগ্রগতি এবং কি কি সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন বা হচ্ছেন সেসব বিষয় নিয়ে ও প্রশ্ন তোলেন সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ।
এসব প্রশ্নের জবাবে বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার মোহাম্মাদ বেলাল হোসেন চৌধুরী বলেন, এখানে প্রায় দেড় বছর হয়ে গেছে আমি কাস্টম কমিশনার হিসেবে কাস্টম হাউস বেনাপোল এ কাজ করছি । এর সময়কাল কাস্টম হাউস বেনাপোল এর জন্য সংস্কার এবং উদ্ভাবনের ঘটনাবহুল সময় অতিবাহিত হয়েছে । আমি অত্যন্ত আনন্দিত এবং আনন্দিত বোধ করছি যে, আমি অংশীদারদের এবং আমার নিজস্ব অনুপ্রাণিত দলের সদস্যদের মধ্যে সুখের উৎসাহবোধকে উদযাপিত করে লক্ষ্যণীয় সাফল্যের গল্পের একটি যুগের সময় তৈরির সাথে জড়িত ছিলাম।
আমার দলের সদস্যরা আমার শক্তির যোগান, আমার সাফল্য অর্জনে তারা সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে ৷জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে আমি যে ভালো ও সাহসী সমর্থন পেয়েছি তাও আমাকে স্বীকার করতে হবে। এছাড়াও, আমি
সিএন্ডএফ এজেন্ট এবং অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি স্টেকহোল্ডার ,ভারতীয় রীতিনীতি এবং বিশেষত সামগ্রিকভাবে বেনাপোলে জনগণের সহায়ক ভূমিকার প্রশংসা করি৷ আমাদের সাফল্য গুলি সম্পর্কিত সমস্ত পক্ষের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল হয়ে উঠেছে ।বেশ কয়েকটি সাফল্যের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বেনাপোল আইসিপিতে যাত্রী সেবা উল্লেখযোগ্য ভাবে উন্নত করার জন্য আমি তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিয়েছিি৷ যদিও এই বন্দরের মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় ১০.০০০ যাত্রী সীমান্ত অতিক্রম করে, আমি দেখতে পেলাম যে তাদের বিশাল আন্দোলন কারীরা একটি বিশাল জনগোষ্ঠীর দ্বারা হয়রানির ফলে মারাত্নকভাবে প্রভাবিত হচ্ছে, যারা আইসিপিতে অবৈধভাবে দালাল হিসেবে কাজ করছে, আমার গতিশীল পদক্ষেপের কারণে কাউকে কোন প্রকার কষ্ট না দিয়ে যাত্রী চলাচলের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা চালু করেছি ৷
কার্যকর পণ্য সম্পদ পরিচালনার জন্য আমি প্রচুর উদ্ভাবনী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি ৷ পণ্য পরীক্ষা এবং মূল্যায়ন আমাদের প্রধান দুটি শুল্ক ক্রিয়াকলাপ রয়েছে৷ আমি বন্দর অঞ্চলটি ট্রাফিক জ্যাম মুক্ত করতে আমার অফিশিয়াল এবং বন্দর ব্যবহারকারীদের সহায়তা ব্যক্তিগত উদ্যোগগুলি দেখি এবং আমরা আমাদের প্রচেষ্টায় সফল হয়েছি৷
সম্পাদক খালেদ মাহমুদ এর এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মাদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী বলেন -কখনো কখনো কিছু আন্তর্জাতিক দল চেষ্টা করে এই সীমান্ত বন্দর দিয়ে কন্ট্রা ব্যান্ড আইটেম গুলি বাংলাদেশ পাচার করতে, তবে আমরা এই জাতীয় যেকোন প্রচেষ্টা বন্ধ করতে সচেতন আছি ৷ সম্প্রতি আমরা দু’দেশে ভায়াগ্রা পাউডার (সিলডেনাফিল সিনট্রেট) আটকে রেখেছিি৷ অপরাধীরা এই পাউডারটি মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে ভারত থেকে আমাদের দেশে পাচার করতে গিয়ে আমার কাস্টম কর্মকর্তাদের কাছে ধরা পড়ে, ভায়াগ্রা পাচারের কুফল প্রচেষ্টা সম্পর্কে গোপন গোয়েন্দা সূত্র থেকে তথ্য পায়, প্রথম খাবারের স্বাদ ঘোষণার নামে ২০০ কেজি ভায়াগ্রা পাউডার পাচার হওয়ার তথ্য পায় এবং সেটাকে আমরা আটকাতে সক্ষম হই। প্রায় একই সময়ে গোয়েন্দা সূত্রের গোপন তথ্য পাওয়ার ভিত্তিতে আমরা ২৫oo কেজি ভায়াগ্রা পাউডার এর একটি বৃহৎ চালান আটকাতে সক্ষম হয় ৷
বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরীর উপরিল্লিখিত বক্তব্যে সত্যতা রয়েছে ৷ভায়াগ্রা আটকের পর তিনি এখন শত্রুপক্ষের নজরদারিতে রয়েছে৷ বিভিন্নভাবে তার ওপর হয়রানির প্রচেষ্টা চলছে৷ ইতিমধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক এর সাবেক ডিভি আহসান কবির এর নজরদারিতে আসেন ৷ দুদকের সাবেক ডিডির একটি ভায়াগ্রা চালান আটকের ফলে বেলাল হোসাইন চৌধুরীর উপর তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং দুদককে ব্যবহার করে তিনি পত্র-পত্রিকা ও দুদক কার্যালয় ঢাকা দপ্তরে বেনামে বিভিন্ন ভাবে প্রচার প্রচারণা চালায় ৷ যাতে করে কমিশনার কে নাজেহাল কিংবা চাকরীচ্যুত করা যায়৷যার ফলে দুদকের সাবেক ডিডি আহসান কবিরের বিরুদ্ধে কাস্টম হাউস এর পক্ষ থেকে বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
WCO এবং WORLD BANK কর্তৃক প্রদত্ত অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী শক্ত হাতে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে তিনি সরকারের উচ্চপদে পদস্হ হয়ে গুরু দায়িত্ব পালন করে চলেছেন ৷
সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন “দি ইকোনমি” পত্রিকায় প্রকাশিত বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহাম্মাদ বেলাল হোসাইন চৌধুরীর সাথে সম্পাদক খালেদ মাহমুদের মধ্যে কথপোকথন এর কিছু সারাংশ তুলে ধরা হলো।