৪৬৩৬ কোটি টাকার পাঁচ প্রকল্প অনুমোদন

বহুমুখী দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র ও জেদ্দায় বাংলাদেশ চ্যান্সেরি কমপ্লেক্স নির্মাণসহ পাঁচটি প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৬৩৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে পাওয়া যাবে ১ হাজার ৪৭৬ কোটি ৪ লাখ টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য হিসেবে বৈদেশিক সহায়তা আসবে ৩ হাজার ১৬০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগর এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়।

একনেক সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রকল্পের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বহুমুখী দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র প্রকল্পের আওতায় সাইক্লোন সেন্টারগুলো হবে বহুমুখী ব্যবহারের জন্য। এগুলো স্কুল হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে।

তিনি বলেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন সব সাইক্লোন সেন্টারের সঙ্গে বাধ্যতামূলকভাবে সংযোগ সড়ক তৈরি করতে হবে। একইসঙ্গে এটি যেমন আধুনিক হতে হবে তেমনি স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ও পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা থাকতে হবে। এছাড়া বৃষ্টির পানি ধরে রাখার জন্য স্থায়ী রিজার্ভার এবং মাল্টিপারপাস সেন্টার রুম নির্মাণেরও নির্দেশ দেন তিনি।

বহুমুখী দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ১৭০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।

সংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, অপচয় দুর্নীতির চেয়েও ভয়ঙ্কর। কেননা, দুর্নীতি হলে তো ধরা যায়, কিন্তু অপচয়ের ব্যয়তো নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। তার মতে প্রকল্পের সবচেয়ে বড় অপচয় হচ্ছে সময়। তাই, অপচয় রোধ করে সময়মত প্রকল্প বাস্তবায়ন করা জরুরি বলে তিনি মন্তব্য করেন।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী প্রকল্পে জনবল নিয়োগ ও অর্থায়নের ধাপ কমানোর নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করব।

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, সৌদি আরবের জেদ্দায় বাংলাদেশ চ্যান্সেরি কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২০৮ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। ভবন নির্মাণ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, চ্যান্সেরিতে প্রবাসীরা যাতে স্বস্তিদায়ক বসার জায়গা এবং পানিসহ প্রয়োজনীয় সুবিধা পান সে ব্যবস্থা রাখতে হবে। এছাড়া দ্রুত কাজ শেষ করতে বার বার যেন প্রতিনিধিদলের বিদেশে যেতে না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন তিনি।

গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্পের ব্যয় হবে ৯৯৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা। দর্শনা-মুজিবনগর আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ১৪৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। চাষাড়া-খানপুর-হাজীগঞ্জ-গোদানাইল-আদমজী ইপিজেড সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা।

এছাড়া ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পটি ব্যয় বৃদ্ধি ব্যতিরেকে পঞ্চম দফা মেয়াদ বৃদ্ধির অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)