পাকিস্তানে হামলা ভারতের;হতাহতের দাবি
পাকিস্তান অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের ভেতরে সন্ত্রাসীদের অন্তত চারটি আস্তানা ও ঘাঁটিতে হামলা চালানোর দাবি করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। রোববার সকালের দিকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের তাঙধর সেক্টরের বিপরীত পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর এই হামলায় ব্যাপক হতাহত হয়েছে বলে দাবি করেছে নয়াদিল্লি।
ভারতীয় সংবাদসংস্থা এএনআই বলছে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নিলাম ঘাট উপত্যকায় সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি ও চৌকিতে হামলা চালিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর চার থেকে পাঁচ সদস্য ও জঙ্গিগোষ্ঠী জয়েশ-ই-মোহাম্মদ এবং লস্কর-ই-তৈয়বার অনেক সদস্য হতাহত হয়েছে।
হামলায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ৪ থেকে ৫ জন সদস্য ও জঙ্গিগোষ্ঠী জয়েশ-ই-মোহাম্মদ এবং লস্কর-ই-তৈয়বার বেশ কয়েকজন সদস্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। পাশাপাশি সন্ত্রাসীদের চারটি আস্তানা ধ্বংসের দাবি করা হয়েছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেছেন, ভারতীয় ভূখণ্ডে সন্ত্রাসীদের অনুপ্রবেশে সহায়তা করেছে পাক সেনাবাহিনী। তাঙধর সেক্টরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করে গোলাবর্ষণ ও অনুপ্রবেশের জবাব দিতে ভারতের পাল্টা হামলায় পাকিস্তানের ব্যাপক প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নিলাম ঘাট লক্ষ্য করে চালানো ভারতের হামলায় আর্টিলারি গোলাবারুদ ব্যবহার করা হয়েছে। ভারত হামলা শুরুর পর রাজস্থান সীমান্তের জয়সালমার এলাকায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই বলছে, আজাদ কাশ্মীর থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডে সন্ত্রাসীরা অনুপ্রবেশের সক্রিয় চেষ্টা করেছে। পরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যরা পাক অধিকৃত কাশ্মীরের তাঙধর সেক্টরে আর্টিলারি গোলাবারুদ নিক্ষেপ শুরু করেছে।
এদিকে, ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলার হিরানগর সেক্টরের মানিয়ারি গ্রামে অস্ত্রবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে হামলা চালিয়েছে পাক রেঞ্জার্স। বেসামরিক এলাকা লক্ষ্য করে ভারী অস্ত্র দিয়ে গুলি এবং মর্টার শেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। পাকিস্তানের হামলায় মানিয়ারি গ্রামে অন্তত তিনজন দগ্ধ হয়েছেন।
গত ৫ আগস্ট ভারত অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর প্রতিবেশী এ দুই পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশের মাঝে ব্যাপক উত্তেজনা চলছে। কাশ্মীর ইস্যুতে দুই দেশের মাঝে পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু হতে পারে বলে গত মাসে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বিশ্ব নেতাদের সতর্ক করে দেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।