বিকালে যুবলীগ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন শেখ হাসিনা
আজ (রবিবার) বিকালে যুবলীগ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে বিকাল ৫টায় শুরু হবে এই বৈঠক। বৈঠকে অংশ নেবেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকরা।
নানা অপকর্মে সমালোচনার মুখে থাকা যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী ও প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এই বৈঠকে উপস্থিত থাকার অনুমতি পাননি বলে জানা গেছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে মূলত তিন বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে। বিষয়গুলো হলো-ওমর ফারুক চৌধুরীর অনুপস্থিতিতে যুবলীগের সপ্তম কংগ্রেসে সভাপতিত্ব কে করবেন, যুবলীগের নেতৃত্ব নির্বাচনে বয়সসীমা বেঁধে দেওয়া হবে কি না, সম্মেলন প্রস্তুত কমিটিতে কাকে আহ্বায়ক করা হবে।
আজকের বৈঠকের পরই যুবলীগের কংগ্রেসের পোস্টার ছাপাসহ আনুষ্ঠানিক নানা কাজ শুরু হবে।
জানা গেছে, ছাত্রলীগের মতো আওয়ামী যুবলীগেরও বয়সসীমা নির্ধারণ করা হচ্ছে। আগামী ২৩ নভেম্বর যুবলীগের সপ্তম জাতীয় কংগ্রেসকে (সম্মেলন) সামনে রেখে নেতৃত্বে বড়ো পরিবর্তনের মাধ্যমে সংগঠনকে বিতর্কমুক্ত করার পাশাপাশি নেতাদের বয়সসীমা ৫০ বছর নির্ধারণ করার চিন্তাভাবনা চলছে। ১৯৭৪ সালের যুবলীগের প্রথম জাতীয় কংগ্রেসে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বঙ্গবন্ধুর ভাগনে শেখ ফজলুল হক মনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মাত্র ৩৩ বছর বয়সে। ঐ সময় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ৪০ বছর বয়সসীমার বিধান ছিল। তবে ১৯৭৮ সালে অনুষ্ঠিত সংগঠনটির দ্বিতীয় জাতীয় কংগ্রেসে ঐ বিধানটি বিলুপ্ত করা হয়। যুবলীগের বর্তমান চেয়ারম্যান, সাধারণ সম্পাদক ও প্রেসিডিয়াম সদস্যদের অধিকাংশের বয়স ষাটোর্ধ্ব। ৬০ জন প্রেসিডিয়াম সদস্যদের মধ্যে মাত্র পাঁচজনের বয়স ৬০ বছরের নিচে। বাকি ২০ জনের বয়সই ষাটের বেশি। যুগ্ম সম্পাদকের প্রত্যেকের বয়সই ৫৫ বছরের অধিক। আট সাংগঠনিক সম্পাদকের মধ্যে শুধু একজনের বয়স ৫০ এর কম। বাকি সাত জনের বয়সই পঞ্চাশোর্ধ্ব। সহসম্পাদক ২০ জনের মধ্যে ১৫ জনেরই বয়স ৫০-এর বেশি। সদস্য ২৬ জনের মধ্যে ১৫ জন ৫০ বছরের বেশি।