ফরমালিনযুক্ত বিষাক্ত মাছ চেনার উপায়

আজকাল বাজার ছেয়ে গেছে দূষিত বা ফরমালিনযুক্ত খাবারে। এর থেকে রেহাই পায়নি মাছও। তাইতো বিষাক্ত রাসায়নিকের ভয়ে বড় রুই, কাতলা এখন আর কেউ কিনতেই চান না। কিন্তু সব বড় রুই, কাতলাতেই কি ক্ষতিকর রাসায়নিক মেশানো থাকে?

কেরলের সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অব ফিসারিজ টেকনোলজির তৈরি এমন একটি ‘কিট’ রয়েছে, যার সাহায্যে মাত্র দুই মিনিটেই জেনে নেয়া যায়, কোন মাছটি রাসায়নিকের প্রভাবে বিষাক্ত বা দূষিত আর কোনটি নয়। কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অন্তর্গত এ সংস্থার তৈরি এই বিশেষ কিট-এর নাম ‘র‍্যাপিড ডিটেকশন কিট’।

কীভাবে কাজ করে এই র‍্যাপিড ডিটেকশন কিট?
এই ‘র‍্যাপিড ডিটেকশন কিট’-এ রয়েছে একটি পেপার স্ট্রিপ, যেটি মাছের গায়ে ঘষে সেটির উপর ১ ফোঁটা কেমিক্যাল সলিউশন দিতে হবে। পেপার স্ট্রিপে এই কেমিক্যাল সলিউশন দেয়ার দুই মিনিটের মধ্যেই পরীক্ষার ফলাফল জানতে পারবেন আপনি। পেপার স্ট্রিপের রং যতটা পরিবর্তিত হবে, বুঝতে হবে ওই মাছটিও ততটাই দূষিত।

সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অব ফিসারিজ টেকনোলজির গবেষকদের মতে, ফরমালিন এবং অ্যামোনিয়ার ব্যবহারে তৈরি এই ‘র‍্যাপিড ডিটেকশন কিট’-এর দামও মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যেই থাকবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মাছের আমদানি-রফতানি বেশ সময় সাপেক্ষ। তাই দীর্ঘদিন মাছ ‘তাজা’ রাখতে ফরমালিনসহ অন্যান্য ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ মেশানো হয়। ফরমালিন মেশানো মাছ খেলে কিডনি, লিভারসহ বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রবল।

সেই সঙ্গে বিকলাঙ্গতা এমনকি ক্যানসারেও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই দেশের সর্ব সাধারণের স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে পানির দরে বাজারে এই ‘র‍্যাপিড ডিটেকশন কিট’ আনার তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছেন সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অব ফিসারিজ টেকনোলজির গবেষকরা।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)