২০২০ সালের মধ্যে ২৩ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এআই
আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগে নানা ইতিবাচক সম্ভাবনার কথা বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরেই বলছেন। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান গার্টনারের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী বছর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগে কর্মসংস্থান সৃষ্টির হার ইতিবাচক ধারায় চলে আসছে।
গত বছরে গার্টনার ‘২০১৮: এআই অ্যান্ড দ্য ফিউচার অব ওয়ার্ক’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। তাতে বলা হয়, বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, ২০২০ সালের মধ্যে এআই প্রয়োগে ১৮ লাখ মানুষ চাকরি হারাবে। তবে এ সময় ২৩ লাখ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এআই প্রয়োগে যেসব চাকরি হারিয়ে যাবে, তা খাত ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হবে। তবে ২০১৯ সালে পাবলিক খাতের পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে চাকরির চাহিদা বাড়বে। ম্যানুফ্যাকচারিং বা উত্পাদন খাতে চাকরি হারানোর আশঙ্কা থাকবে।
গবেষকেরা বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশ্বের বিভিন্ন শিল্পের গতিপথ বদলে দিয়েছে। তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে মানুষের মধ্যে সাধারণ কিছু ভীতিও রয়ে গেছে।
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞানের অধ্যাপক ফেই-ফেই লি বলেন, ব্যবসার রূপান্তরের ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভূমিকা অস্বীকার করার মতো নয়। অনেকের দাবি মতো, আমাদের যুগ যদি পরবর্তী শিল্পবিপ্লবের যুগ হয়ে থাকে তবে এআই অবশ্যই এর চালিকাশক্তি। কয়েক বছর ধরে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাত থেকে ফ্যাশন ও ট্যুরিজম খাতেও রূপান্তর ঘটাচ্ছে এআই।
গবেষণা ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গার্টনার বলছে, আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স গ্রহণের ক্ষেত্রে তিনটি বড় চ্যালেঞ্জ বা বাধা রয়েছে। একটি হচ্ছে এআই তালিকাভুক্ত করার দক্ষতা, অজানা ভয় ও সম্পূর্ণ ডেটা ব্যবহারের সুযোগ অন্যতম।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা সতর্ক করে বলেছেন, অটোমেশন বা স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি প্রয়োগে আগামী দুই দশকে যুক্তরাজ্যের ৩৫ শতাংশ চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে থাকবে। তবে গার্টনার বলছে, অনেক ক্ষেত্রে উত্পাদন বাড়ানোর জন্য এআই ভূমিকা রাখবে।
গার্টনারের ভাইস প্রেসিডেন্ট সভেতলানা সিকুলার বলেন, অতীতের গুরুত্বপূর্ণ অনেক উদ্ভাবনের ফলে সাময়িক চাকরি হারানোর একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করতে হয়। পরে তা ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যায়। ব্যবসা রূপান্তর ও এআইয়ের ক্ষেত্রেও একই ধারা দেখা যেতে পারে।