জেলায় জেলায় পৌঁছাচ্ছে আমদানি করা পেঁয়াজ
মিয়ানমার থেকে আমদানি করা ৫৮৪ মেট্রিক টন পেঁয়াজ কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে বুধবার এসে পৌঁছেছে। জানা গেছে, এরইমধ্যে পেঁয়াজগুলো বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া শ্রমিকের অভাবে খালাসের অপেক্ষায় আছে আরো ২১ হাজার ৭৫ বস্তার (৮৪৩ মেট্রিক টন) কয়েকটি পেঁয়াজের ট্রলার।
এদিকে পেঁয়াজ আমদানি ও বাজার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে স্থলবন্দরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দল। বুধবার মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব তৌফিকুর রহমানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল আমদানিকারকদের সঙ্গে এ বৈঠক করেন।
এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব তৌফিকুর রহমান বলেন, দেশের চাহিদা ও পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক রাখতে এখানে আসা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের মূল্য নিয়ে কারসাজি করলে তাদের চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা আবছার উদ্দিন বলেন, টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে ৫৮৪ মেট্রিক টন পেঁয়াজভর্তি ৩৭টি ট্রাক দেশের বিভিন্ন এলাকা রওনা দিয়েছে। এছাড়া মিয়ানমার থেকে আসা ৮৪৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ খালাসের অপক্ষোয় রয়েছে।
ডিসি মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, বাজারদাম সহনশীল করতে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি নির্বিঘ্ন করা হবে। পাশাপাশি স্থানীয়দেরও সুলভে পেঁয়াজ সরবারহ করতে হবে। এরইমধ্যে স্থানীয় প্রশাসন কক্সবাজারে ৬৫-৭০ টাকায় পেঁয়াজের খুচরা মূল্য নির্ধারণ করেছেন। মিয়ানমারের আমদানি করা পেঁয়াজ স্থানীয় বাজারে ৫০ টাকার ঊর্ধ্বে বিক্রি না করারও পরার্মশ দেন তিনি।
বৈঠকে উপস্থিতি ছিলেন এডিসি মাসুদুর রহমান মোল্লা, টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম, ইউএনও মোহাম্মদ রবিউল হাসান, কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী, স্থলবন্দরের মহাব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন প্রমুখ।