৬৮ শতাংশ নারী সাইবার অপরাধের শিকার

বাংলাদেশে দিন দিন সোশ্যাল মিডিয়া নারীদের জন্য অনিরাপদ হয়ে উঠছে। নানা ধরনের সাইবার হয়রানির শিকার হচ্ছেন নারীরা। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে ইন্টারনেটের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী নারীদের ৬৮ শতাংশ সাইবার হয়রানি বা সাইবার অপরাধের শিকার হচ্ছেন।

গবেষণায় উঠে এসেছে, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে ১১ ধাপে অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। এর মধ্যে চারটিই নতুন। এগুলো হলো, ফোনে বার্তা পাঠিয়ে হুমকি, কপিরাইট আইন লঙ্ঘন, পণ্য বিক্রি করতে গিয়ে হয়রানির শিকার এবং অনলাইনে কাজ করিয়ে নেওয়ার কথা বলে হয়রানি। ‘বাংলাদেশে সাইবার অপরাধের প্রবণতা’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন সিসিএ ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মুস্তাফিজ।

গত রবিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন (সিসিএ ফাউন্ডেশন)। সাইবার সচেতনতা মাস অক্টোবর ২০১৯ এর আন্তর্জাতিক ক্যাম্পেইন উপলক্ষ্যে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সহ আয়োজক ছিল ‘থিংক ট্যাঙ্ক ফর সিকিউর ডিজিটাল বাংলাদেশ’।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ফোনে বার্তার মাধ্যমে হুমকির শিকার হচ্ছেন ৬ দশমিক ৫১ শতাংশ। কপিরাইট লঙ্ঘনের মাত্রা ৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ। অনলাইনে কাজ করিয়ে নিয়ে হয়রানির ঘটনা ঘটেছে ১ দশমিক ৪০ শতাংশ। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী এগুলো নতুন ধরনের অপরাধ। এতোদিন পণ্য কিনে হয়রানির শিকার হওয়ার ঘটনা ঘটলেও এবার সামনে এসেছে ব্যতিক্রমী ঘটনা। অনলাইনে বিক্রিত পণ্য ক্রেতার কাছে পৌঁছে দিতে গিয়ে হয়রানির ঘটনা ঘটেছে ০ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

প্রতিবেদনের তথ্য মতে, বর্তমানে সাইবার অপরাধের শিকার নারীর হার ৬৭ দশমিক ৯ শতাংশ যা আগের বছরে ৫১ দশমিক ১৩ ছিল। ভুক্তভোগীদের ৮০ দশমিক ৬ শতাংশ আইনের আশ্রয় নেন না। ১৯ দশমিক ৩ শতাংশ মনে করেন, আইনের আশ্রয় নিলে তাদের উল্টো হয়রানির শিকার হতে হবে। ১৬ শতাংশ মনে করেন অভিযোগ করেও লাভ হবে না। ১৩ দশমিক ৩ শতাংশ সামাজিক ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ন হওয়ার ভয়ে এবং অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রভাবশালী হওয়ায় ৩ দশমিক ৯ শতাংশ ভুক্তভোগী আইনের আশ্রয় নেন না।

‘থিংক ট্যাংক ফর সিকিউরিটি ডিজিটাল বাংলাদেশে’র আহ্বয়ক সৈয়দ জাহিদ হোসেন বলেন, ‘কম্পিউটার ব্যবহারের ফলে সাইবার অপরাধও বাড়ছে। যারা সাইবার অপরাধে জড়াচ্ছেন তারা আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার ইচ্ছা থেকে এ কাজ করে থাকেন।’ ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মাহমুদা আফরোজ লাকী বলেন, বর্তমানে ফেসবুক হ্যাকড করে ম্যাসেঞ্জারের গোপন তথ্য ও ছবি নিয়ে টাকা দাবি করা হচ্ছে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)